• মাতৃহারা কিশোরীকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন! গ্রেপ্তার দাদু
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: রক্ষকের লালসার শিকার নাবালিকা! দিনের পর দিন নাবালিকা নাতনিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল দাদুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানা এলাকায়। নাবালিকার বোনের উপরও অত্যাচার করা হতো। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।  


    মা মারা গিয়েছে আগেই। তারপর বাবা দুই বোনকে দাদুর আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হল নাবালিকাকে। এমনকী ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। প্রতিবেশীদের সাহায্যে থানার দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিস। ধৃতের নাম শঙ্কর বিশ্বাস (৫৫)। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে নাবালিকার মা মারা যান। এরপর বাবা দুই বোনকে দাদুর কাছে পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। অভিযোগ, দাদুর বাড়িতে থাকায় নানা অত্যাচার সহ্য করতে হতো দুই বোনকে। অভিযোগ, দাদু নাবালিকাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করত। কাউকে কিছু বললে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিত গুণধর দাদু। রবিবার নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর বান্ধবীর মাকে পুরো বিষয়টি জানায় সে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে থানায় আসে। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নাতনিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল দাদু। নাবালিকার জন্য বয়স্ক পাত্র ঠিক করেছিল সে। নাতনি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। নাবালিকার দিদিমা বাইরে কাজ করতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই নাতনির উপর অত্যাচার করত অভিযুক্ত। এদিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরব হন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন 


    তাঁরা।
  • Link to this news (বর্তমান)