সাড়া দেয়নি প্রশাসন, গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে সারালেন রাস্তা, নদীবাঁধ
বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ঘাটাল: নিজেরা চাঁদা তুলে নদীবাঁধের ধস মেরামত করতে শুরু করলেন গ্রামবাসীরা। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ঘোষকিরা গ্রামের বাসিন্দারাই সোমবার থেকে রাস্তা ও নদীর ধস মেরামতির কাজে হাত লাগালেন। গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ওই ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্লকে বন্যার পর বহু জায়গায় নদীবাঁধ ধসে গিয়ে রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ওই গ্রামে বাসিন্দারা যে নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমেছেন, সেটা জেনে ভালো লেগেছে। আমিও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে ওই ধসে যাওয়া বাঁধগুলি অবিলম্বে সংস্কার করে দেওয়ার কথা জানিয়েছি।’
বন্যার পর শিলাবতী নদীর পাড়ে ঘটে যাওয়া ধসের কারণে রাস্তা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ফলে এলাকার কৃষি-নির্ভর বহু পরিবারের যাতায়াতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য কৃষিকাজের মালপত্র ও উৎপাদিত ফসল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
গ্রামের বাসিন্দারা তুহিন ঘোষ, প্রবোধ মণ্ডল প্রমুখ জানান, বন্যার পরই রাস্তাগুলি ধসে গিয়ে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে ভারী মালপত্র ও কৃষিপণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামবাসীরা বহুবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। তাই নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে লক্ষ টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি শুরু করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
এদিন থেকে গ্রামের মানুষজন বাঁশ ও থলি ব্যবহার করে নদীর ধস মেরামত করতে শুরু করেন। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে নদীর পাড় মেরামতি করেন। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির অনেকেই রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগান।ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশরাফুল মল্লিক বলেন, ‘মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচনবিধি কার্যকর রয়েছে। তাই সরকারি উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’-নিজস্ব চিত্র