• রামকৃষ্ণ আশ্রমের জগদ্ধাত্রী পুজোয় মাতেন পাশের ২০ গ্রামের বাসিন্দা
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর:  ১৪ বছর আগে জয়পুরের হিজলডিহা রামকৃষ্ণ আশ্রমে কুড়িয়ে পাওয়া ধাতুর দেবীমূর্তির আরাধনার মাধ্যমে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়।  ওই বছর পুজোয় বিপুল সাড়া পাওয়ায় প্রতিবছর ধুমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোয় আশেপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দা আনন্দে মাতেন। 


    আশ্রমের কর্ণধাররা বলেন, নিত্য কাজকর্ম ছাড়াও সারাবছরই সামাজিক কাজে নিয়োজিত থাকায় আশ্রমের প্রতি ভক্তদের বাড়তি আগ্রহ থাকে। হিজলডিহা গ্রামটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। কাছাকাছি এলাকায় সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো হয় না। সেজন্য আশ্রমের পুজোয় দলে দলে দর্শনার্থী ভিড় জমান। গত শনিবার পুজোর উদ্বোধন হয়। রবি এবং সোমবার দু’দিন ভিড় উপচে পড়ে। আজ মঙ্গলবার বিসর্জন হবে। পুজোয় তিনদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবিবার কয়েক হাজার মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।  সোমবার ৫০০ জন দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্রদান করা হয়। 


    হিজলডিহা রামকৃষ্ণ আশ্রম ও বিবেকানন্দ সেবা সমিতির সম্পাদক বিকাশ পালধি বলেন, এবারে আমাদের জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪তম বর্ষে পড়েছে। আমরা সারাবছরই সামাজিক কাজে নিয়োজিত থাকি। গরিব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য আর্থিক সাহায্য ছাড়াও দুঃস্থদের বস্ত্র, রেশন সহ আর্থিক সহায়তা করা হয়। এছাড়াও আশ্রমের পক্ষ থেকে নানা সামাজিক কর্মসূচী নেওয়া হয়। শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন বরাহনগর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বামনানন্দ মহারাজ। শনিবার বিকালে তিনি পুজোর উদ্বোধন করেন। রবিবার সকালে মঙ্গলারতি, ঘট স্থাপন, চণ্ডীপাঠ হয়। সোমবার ভক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার ছৌনাচ হবে।


    আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রাম হিজলডিহায় ৪০ বছর আগে রামকৃষ্ণ আশ্রম ও বিবেকানন্দ সেবা সমিতি গড়ে ওঠে। আশ্রমে ওই সময় দুর্গাপুজো হলেও জগদ্ধাত্রী পুজো হতো না।  ২০১১ সালে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঠিক আগে আশ্রমের সম্পাদক মন্দিরের পাশে ধাতুর তৈরি একটি জগদ্ধাত্রী মূর্তি কুড়িয়ে পান। কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ওই দেবীমূর্তি পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পুজোয় বিপুল সাড়া পাওয়ায় প্রতিবছরই ধাতুর মূর্তি ছাড়াও মাটির মূর্তি গড়ে পুজো হয়। হিজলডিহা ছাড়াও ময়নাপুর, কুচিয়াকোল, নতুনগ্রাম, আড়শোল, বৈতল সহ প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দা পুজো দেখতে আশ্রমে আসেন।
  • Link to this news (বর্তমান)