• উন্নয়নে গতি বৃদ্ধির জন্য ৬টি কেন্দ্রেই তৃণমূলকে জেতানোর আহ্বান মমতার,  উপ নির্বাচনে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ল জোড়াফুল শিবির
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বুধবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সব কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রেখেছেন। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে বেরনোর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে। ৩৬৫ দিন আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। তাই সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালড্যাংরা আসনের উপনির্বাচনে ভোটটা সবাই তৃণমূলকেই দেবেন। 


    রাজ্যে বুধবারের ছয়টি কেন্দ্রের ভোট রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে বাংলাকে সিপিএম, বিজেপি যেভাবে বদনাম করেছে, তার জবাব এই ভোটে মিলবে বলেই প্রত্যয়ী সুর তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। রাজ্যের শাসক শিবিরের ব্যাখ্যা, এখানে স্থিতিশীল সরকার রয়েছে। রাজ্যজুড়ে চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। ফলে ছয়টি বিধানসভার কেন্দ্রের মানুষও উপনির্বাচনে তৃণমূলের ভোটবাক্সে সমর্থন উজাড় করে দেবেন। এই প্রসঙ্গেই মমতার দাবি, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতেই তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করবেন সকলে। মাসকয়েক আগেই হয়েছে লোকসভার নির্বাচন। তৃণমূল সাংসদরা মানুষের জন্য কাজ করছেন এবং আগামী দিনে আরও কাজ হবে।


    ভোটের দিন ও ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলবে বিরোধীরা। বিষয়টি অনুমান করেই প্রচারের শেষদিনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূলের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। তাই ভোটের আগেই হেরে বসে আছে বিরোধীরা। ছয়টি কেন্দ্রেই তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, তৃণমূলের জনপ্রিয়তা নিয়ে বিরোধীদের মনে কোনও সংশয় থাকলে সব বুথে লাইভ স্ট্রিমিং হোক। প্রতি বুথে সিসি ক্যামেরা এবং সবার হাতে মুঠোফোন রয়েছে। সবকিছুর পরেও দেখবেন মানুষ তৃণমূলের প্রতিই তাঁদের সমর্থন উজাড় করে দিচ্ছেন। 


    বাংলার ছয় কেন্দ্রের উপনির্বাচন ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার ভোট হচ্ছে। লোকসভা এবং বিধানসভার উপনির্বাচন আছে আরও একাধিক রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মহিলারা আজ এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রকল্পটিকে অনুকরণ করেছে একাধিক রাজ্য। মহারাষ্ট্রের ভোটেও চর্চায় উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুরূপ প্রকল্প। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি—মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণ ঝুটা, মিথ্যার প্রতিশ্রুতি চলছে। মহারাষ্ট্রে ওই ধরনের প্রকল্প চালু হলেও দু’মাস পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মতো পারিবারিক সুরক্ষা প্রকল্প আর কোথাও নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে এসসি/এসটি মহিলারা প্রতিমাসে পাচ্ছেন ১২০০ টাকা। ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মহিলাদের।  এই নির্বাচনে অন্য রাজ্যগুলিতে বিজেপির বিরুদ্ধেই ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
  • Link to this news (বর্তমান)