• 'উধাও' সরকারের ৪০ লাখ, ভাতা পাচ্ছে না মানুষ, বিস্ফোরক অভিযোগ TMC কাউন্সিলরেরই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • আসানসোল পুরনিগমে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রণবীর সিং বরারা। এই নিয়ে তৃণমূল নেতার গুরুতর অভিযোগ, সাধারণ মানুষ সময়মতো ভাতা পাচ্ছেন না। উল্লেখ্য, আসানসোল পুরনিগম তৃণমূল পরিচালিত। এই আবহে দলেরই কাউন্সিলর এভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এই প্রসঙ্গে রণবীর জানিয়েছেন, ১৩ নভেম্বর বোর্ড মিটিংয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবেন তিনি। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই বিষয়টিও বৈঠকে তুলে ধরবেন তিনি। এই মর্মে নাকি ইতিমধ্যেই পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন রণবীর। তৃণমূল কাউন্সিলরের সেই চিঠিতে আবার সই রয়েছে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরওয়ারের। রণবীরের অভিযোগকে তাঁরা সমর্থম করেছেন।

    কী অভিযোগ করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর? রণবীরের দাবি, আসানসোল পুরনিগমে এখনও পর্যন্ত পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলো গঠনই করা হয়নি। এই আবহে ব্যাঙ্ক থেকে নাকি পুরনিগমের ৪০ লাখ টাকা 'উধাও' হয়েছে। সেই বিষয়টি তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এদিকে তাঁর আরও অভিযোগ, সময় মতো বার্ধক্য ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না অনেকেই। রণবীরের কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে সেই অর্থ উধাও হয়ে যাচ্ছে। কখনও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হচ্ছে তো কখনও কর্মচারীরা টাকা নিয়ে পালাচ্ছেন। আর গরিব মানুষরা তাঁদের হকের ভাতা পাচ্ছেন না।'

    এহেন অভিযোগ উঠতেই তৃণমূল বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর কথায়, 'শুধুমাত্র আসানসোল পুরনিগম নয়, রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরেই লুটপাট চলছে। তবে তৃণমূল কাউন্সিল রণবীর নিজের শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি। তাই তাঁকে স্যালুট জানাই। আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে যেন ওই কাউন্সিলরকে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।'

    এদিকে আসানসোল পুরনিগমের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লাখ টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল আসানসোল সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মাধব সারোগী ও প্রিয়াংশু সাহু। মাধবের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের আনুপুরে ও প্রিয়াংশু ছত্তিশগড়ের পেন্দ্রার বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাতিল চেকে সই নকল করে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের একটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেছিল দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, আসানসোল পুরনিগমের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই অ্যাকাউন্টে ফোন নম্বর বদল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়। ব্যাঙ্কের তরফে বিষয়টি নিয়ে অনুমোদনের জন্য পুরনিগম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অথচ এমন কোনও আবেদনপত্র পুরনিগমের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তখনই পুরনিগম কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। তারা গিয়ে ব্যাঙ্কের খাতা পরীক্ষা করে দেখে যে ৪০ লাখ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)