হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চে মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে আইনি রক্ষাকবচ চাইছেন অর্জুন। বিজেপি নেতার আইনজীবীর বক্তব্য, একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁর মক্কেল হাজিরাও দেবেন। কিন্তু এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি বলে জানান আইনজীবী। তাঁর আর্জি, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হোক অর্জুনকে। হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। আগামিকাল মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চার বছর আগে ভাটপাড়া পুরসভার একটি মামলায় অর্জুনকে মঙ্গলবার তলব করেছিল সিআইডি। নোটিসে জানানো হয়েছিল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে হবে বিজেপি নেতাকে। তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। নোটিস খারিজ এবং রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, উপনির্বাচনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ডেকে পাঠাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। মামলায় সোমবার হাই কোর্টের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন অর্জুন।
একক বেঞ্চের নির্দেশে উপনির্বাচনের আগে তাঁকে হাজিরা দিতে হচ্ছে না। ভোটের পরের দিন (বৃহস্পতিবার) হাজিরা দিতে হবে ভবানী ভবনে। পাশাপাশি আরও কিছু শর্ত দিয়েছিল আদালত। তার মধ্যে অন্যতম চার ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না অর্জুনকে। ১৪ তারিখের পর যদি আবার বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকে, তবে নভেম্বরের শেষের দিকে তলব করতে পারে। তবে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি অর্জুনের আইনজীবীর। তাই রক্ষাকবচ চেয়ে এ বার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা।