প্রসঙ্গত, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই আতঙ্কে পড়ে যান হলদিরাম এলাকার বাসিন্দারা। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ওই রাস্তায় জল ভেঙে যাঁদের যাতায়াত করতে হয়, বিশেষত বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের, তাঁরা পড়েন চরম ভোগান্তির মধ্যে। এমনকি, জমা জলের জন্য যানবাহনের গতি কমে যাওয়ার কারণে যানজটে আটকে বিমান ধরতে না পারার ঘটনাও ঘটে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত শনিবার নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার নেতৃত্বে হওয়া ‘এয়ারপোর্ট এনভায়রনমেন্ট কমিটি’র বৈঠকে বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী পুর এলাকাগুলির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে হলদিরামের জল-যন্ত্রণার কথা। বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিধাননগর পুরসভা-সহ একাধিক পুরসভা। হাজির ছিলেন বিমানবন্দর, পূর্ত দফতরের প্রতিনিধিরাও।
বিধাননগর পুরসভার আধিকারিকেরা বৈঠকে জানান, বিমানবন্দর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জল বেরোয় বিধাননগর পুর এলাকার মধ্যে দিয়ে। পরিস্থিতি আগের তুলনায় উন্নত হলেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। তিন দিনের বদলে এখন এক দিনের জন্য ভারী বৃষ্টি হলেও হলদিরাম তল্লাট জলে ডুবে যায়।
সূত্রের খবর, নবান্নের ওই শীর্ষ কর্তা বৈঠকে জানান, নগরায়ণের কারণে দেশের সর্বত্র এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। অন্যান্য জায়গায় কী ভাবে তার সমাধান করা হচ্ছে, সে দিকে নজর রেখে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক করে সমাধানসূত্র খুঁজে বার করার জন্য।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, কলকাতা বিমানবন্দর, বিধাননগর পুরসভা, উত্তর দমদম, দমদম, পূর্ত দফতর, রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), কেএমডিএ-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকা হবে। হলদিরাম এলাকায় গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের কাজ চলায় সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে আরভিএনএলের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে জেলা প্রশাসন।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে কাজ করবে এই কমিটি। তারাই প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে জল-যন্ত্রণার সমাধানসূত্র খুঁজবে।