হাই কোর্ট জানিয়েছে, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, লোয়ার সার্কুলার রোড, এজেসি বোস রোড (মৌলালি ক্রসিং) হয়ে বেকবাগান পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। মিছিল শেষে কয়েক জন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে স্মারকলিপিও জমা দিতে পারবেন। একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, বিকেল ৪টের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ‘গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামের একটি সংগঠন মিছিল করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। শুধু জুলাই মাসেই নিহত হন শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে প্রবল জনরোষের মুখে পড়ে ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। তার পরেও নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে। সারা দেশের ৫২ জেলার একাধিক জেলায় সংখ্যালঘু-হামলার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই নিরাপত্তা চেয়ে পথে নামেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে নয়াদিল্লিও।