পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আয়ুষ পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি স্কুলে পড়ত। মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রটি। তার বাড়ি মানিকতলায়। সে সময় সল্টলেকের রাস্তায় দু’টি বাসের রেষারেষি চলছিল। তার মধ্যে একটি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মাকেও ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। এর পরেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন, বাস ভাঙচুর করেন।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রকে জেসিবি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ওই এলাকায় ছিল জেসিবিটি। নবম শ্রেণির ওই ছাত্র কোচিং সেন্টার যাচ্ছিল। পথে তাকে ধাক্কা দেয় জেসিবি। তার মাথায় চোট লাগে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। রাস্তার বেহাল দশাকেই তাঁরা দায়ী করেন। পাটুলি থানার ওসিকে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে।
২০২৩ সালের অগস্টে বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সৌরনীল সরকার নামে ওই ছাত্রকে পিষে দেয় লরি। লরির ধাক্কায় আহত হন তার বাবাও। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডায়মন্ড হারবার রোডেই সৌরনীলের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। দফায় দফায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের ভ্যান এবং মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েও পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় সৌরনীলের দেহ।