• ‘ট্যাব’ কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস, ধৃত ১
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ‘ট্যাব’ কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতানোর অভিযোগে মালদহ থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম হাসেম আলি। বাড়ি মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগরে। রাজ্য সরকারের তরফে সঠিক সময়ে ‘ট্যাবের’ টাকা পাঠানো হলেও কয়েকটি জেলায় তা হাতে পাননি পড়ুয়ারা। এমনকী তিনশোরও বেশি স্কুল পড়ুয়ার ‘ট্যাব’ কেনার টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিসও। তদন্তে নেমে জানা যায়, জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইলের মাধ্যমে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। তারপর সেই পোর্টালে থাকা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট সে হ্যাক করে বলে অভিযোগ। যার ফলে নির্দিষ্ট পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া ‘ট্যাবের’ টাকা পাঠানো হলেও সেটি সোজা পৌঁছে যায় প্রতারক হাসেম আলির কাছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। ধৃত হাসেমকে সাত দিনের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার সায়ক দাস। যদিও ধৃতের মায়ের দাবি, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল, সোমবার হঠাৎ করে তিনজন পুলিস এসে ওকে ধরে নিয়ে যায়।’


    ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ম এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিস ও শিক্ষা দপ্তর তদন্ত শুরু করে। প্রতারিত হওয়া পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই টাকাও পাঠিয়ে দিয়েছে। এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, পূর্ব বর্ধমানের ২৮টি স্কুলের ৮৫ জন পড়ুয়ার ‘ট্যাবের’ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়েছিল। যে সব পড়ুয়ার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল সেই সব পড়ুয়াদের আবার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)