রাত পোহালেই ভোট আর ভোটের এক মুহূর্তে মাদারিহাট বিধানসভা ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় রাহুল লোহারের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টারে লেখা চার্জশিট। আর এতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মাদারিয়ার বিধানসভায় ভোটের ঘন্টা বাজতেই শুরু হয়েছিল ভোট প্রচার। চা বাগান থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে শহর সমস্ত জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। নিজে হাতে চা বানিয়ে খাওয়ানো আবার কখনও বা শ্রমিকদের সঙ্গে পাতা তোলার কাজ সবকিছুতেই জমজমাট ছিল প্রচার। তবে এতদিন কোনও পোস্টার না করলেও এবারে কিন্তু রাহুল লোহার এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুনগানে পোস্টার পড়ল মাদারিহাট বিধানসভার ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায়।
সেই পোস্টারে কখনও বা রাহুল লোহারের বাবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হয়েছিল ২০০৪ সালের সেই ঘটনা। আবার পোস্টারে উল্লেখ করা রয়েছে এরা হল গুন্ডামি ও মানুষকে মারার অভিযোগ। এর পাশাপাশি পোস্টারে রয়েছে মনোজ টিক্কার একাধিক মানুষ রয়েছে পাশে সেটাও উল্লেখ রয়েছে পোস্টারে। এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এনআরসি ও CAA এর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল এই বিধানসভা কেন্দ্রে। তবে কি রাত পোহালেই ভোট তার আগেই এ ধরনের পোস্টার। জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রচারকে মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ আগামীকাল ভোট আর এখন পোস্টার ছাপিয়ে পোস্টার লাগানো সময় নেই বিজেপির কাছে। তাই একদিন আগেই পোস্টার লাগিয়ে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেস। দেওয়াল লিখনে ছিল ভোট প্রচার এবং মানুষ যাতে এই চিহ্নে ভোট দেয় সেই প্রচার। কিন্তু কোনও পোস্টার পড়েনি। আর ভোটের মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি তার আগেই পোস্টার সত্যি ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কে বা কারা লাগাল এখনও অবধি কিন্তু কোনও কিছু জানা যায়নি। তবে এই পোস্টার দেখে পরিষ্কার তৃণমূল কংগ্রেসেরই এধরণের কাজ বলে অভিযোগ বিজেপি-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। ঘটনায় অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেসের।