স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবার আরএসপি নেতা তথা রাজ্য কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুবোধ মাইতি। তাঁর বাড়িতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, স্থানীয় যুবক বাপি হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বাড়ির বড় বউ ঝর্ণা। সেই প্রেমের ঘটনায় দুজনার ফোনে ঝগড়া হয়। এরপর অভিযোগ এদিন রাতে প্রেমিক বাপি হালদার সুবোধ মাইতির বাড়িতে হাজির হয়। আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বড় বউ ঝর্ণার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। এমনকি তার ঘাড়ে, গলায় একাধিক কোপ মারে।
ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন বাড়ির ছোট বউ প্রিয়াঙ্কা। তিনি ঝর্ণাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যেতেই তাঁকেও আক্রমণ করে ছুরি দিয়ে কোপ মারে গলায়। রক্তাক্ত বস্থায় প্রাণ ভয়ে চিৎকার করে দৌড়ে বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ও পরিবার দৌড়ে আসে। তারা দুই বধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি গোসাবা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
এরপর নদী পার হয়ে তারা সোজা কলকাতা হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে প্রেমিক বাপি হালদারকে গ্রেফতার করেছে গোসাবা থানার পুলিস। ধৃতকে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেছে। রাতে এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে পুলিস।