রোগী ও তার পরিবারের লোকেদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলো এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার সহকারির বিরুদ্ধে। জানা গেছে এগরা ১ ব্লকের জেড়থান গ্রামের বাসিন্দা তপন বেরা তাঁর পরিবারের লোকেরা গত শুক্রবার এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ চিকিৎসা করার পরেও সুস্থ না হওয়ায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডাক্তার সুপ্রতিম মান্নাকে সমস্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ। ওড়িশা এইমস-এ দেখানো হয়েছে। এখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আছেন। অন্যান্য রোগ আপাতত ভালো আছে। কিন্তু সুগারটা বড্ড বেশি, আপনি সুগারটা দেখুন। এই কথা বলাতেই ডাক্তার বেজায় চটে যান। এরপর সকলের সামনে কটূক্তি টোন-টিটকিরি করেন, গরুর ডাক্তারকে দেখানোর পরামর্শ দেন, অপমান করেন।
চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর ২ জন সহযোগীও চরম কটূক্তি অপমান করেন বলে অভিযোগ। এমনকি চিকিৎসকের এক সহযোগী সায়ন মিশ্র রোগীকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার পরামর্শও দেন বলে অভিযোগ। এরপর চিকিৎসক অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে দুটি রিপোর্ট করে আনার কথা বলেন। রিপোর্ট করে আনার পর চিকিৎসককে দেখানোর জন্য গেলে চিকিৎসক আবার সেই রিপোর্ট দেখতে চাননি। সহযোগী সায়ন মিশ্র তখন ফের তপন বেরার অসুস্থ স্ত্রীকে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলার পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ। এমনকি রিপোর্ট দেখাতে যাওয়ার সময় চিকিৎসকের সহযোগী চিকিৎসকের কাছে ঢুকতে না দিয়ে উলটে গেটের মুখ থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে রোগীর স্বামীকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসক দুটি রিপোর্ট করে আনার কথা বলেছিল। একটি রিপোর্ট এগরাতে করানো যায়নি। আরেকটি রিপোর্ট করে দেখাতে গেলে এমন দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় সোমবার গ্রামবাসীরা রোগীর পরিবারের সঙ্গে এসে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। ডাক্তারদের যেখানে ভগবানের সাথে তুলনা করা হয়, সেখানে এমন দুর্ব্যবহার! কোনওভাবেই তা কাম্য নয়। এই ঘটনায় এই চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। যদিও এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার সমীর আচার্য জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। উভয়পক্ষের কথা শোনা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা হবে।