• বর্ধমানে ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় পাকড়াও মালদহের যুবক, কীভাবে জালিয়াতি?...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • অরূপ লাহা: ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় মালদা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান জেলা পুলিস। ধৃতের নাম হাসেম আলি।বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইলে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। নিজে একটি অ্যাকাউন্ট মডিফাই করেছিল হাসেম। যে মোবাইলটি হাসেম ব্যবহার করতো সেটিও আটক করেছে পুলিস। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে পুলিসের অনুমান। ধৃতকে সাত দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানান পুলিস সুপার সায়ক দাস।

    ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় টাকা না পাওয়া ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে  ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা শাসক আয়েশা রানী জানান, পূর্ব বর্ধমানের ২৮টি স্কুলের ৮৫ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি। ইতিমধ্যেই ৮৪ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। যে সব পড়ুয়ার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল সেই সব পড়ুয়ারা  ট্যাবের টাকা পেয়েছে । বর্ধমান শহরের সিএমএস স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়াই ট্যাবের টাকা পেয়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় ।

    উল্লেখ্য, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে এক অ্যাকাউন্টের টাকা ঢোকে অন্যের অ্যাকাউন্টে। প্রতারিত হয়ে শিক্ষা দপ্তরের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

    বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুলে এবছর ৪১২ জন পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের আবেদন করা হয়। কিন্তু স্কুলের ৪১২ জনের মধ্যে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। তারপর স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই,অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে। পাশাপাশি পুলিশের সাইবার থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    স্কুলের পক্ষ থেকে ২৮ জন পড়ুয়াকে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়। ব্যাঙ্কে গিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের ট্যাবের দশহাজার টাকা ঢুকেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ে ট্যাবের জন্য টাকা না পাওয়া ২৮ জন পড়ুয়া।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)