ঝাড়খন্ড আদালতের তরফ থেকে আর্থিক লেনদেনের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে। ইডি তদন্ত নেমে জানতে পারে বিপুল পরিমানে অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে তারা জানতে পারে হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রাকে বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিবর্তন করে সেই মুদ্রাকে ফের ভারতীয় টাকায় পরিবর্তন করা হত। এই বিপুল পরিমাণে অর্থ লেনদেনের পেছনে কে বা কারা রয়েছে তারই তদন্ত শুরু করে ইডি।
মঙ্গলবার কলকাতা ও ঝাড়খণ্ডের ইডি আধিকারিকরা এক যোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ১২টি জায়গায়। ইতিমধ্যে মধ্যমগ্রামের তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিমপল্লীতে পিঙ্কি বসু নামে এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক নারী পাচার ও দেহ ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে এই মহিলার বলে সন্দেহ করছেন তারা।
ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, গত তিন মাসে সাতটি ঠিকানা বদলেছেন এই মহিলা। কী কারণে বারংবার ঠিকানা বদল জানতে চায় ইডি। আন্তর্জাতিক নারী পাচার ও দেহ ব্যবসার সঙ্গে কিভাবে ওতপ্রুতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন এই মহিলা তাই ক্ষতিয়ে দেখছেন ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে রাঁচির বারিয়াতু থানায় একটি আর্থিক তছরুপের এফআইআর দায়ের হয়। সেখানে অভিযোগ, বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। তবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পরিচয়পত্র।