গত বছরের অক্টোবরে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা ২৫ বছর রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। ১০ বছর কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিলেন। পরের ১৫ বছর তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পার্থসারথি। ভোটে জিতে বিধায়ক হন। কিন্তু তাঁর সময়ে রানাঘাট পুরসভায় কী ভাবে এবং কোন নিয়মে কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই তলব নিয়ে পার্থসারথি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দু’-এক জনের মুখে শুনলাম (তলবের কথা)। তবে তলব সংক্রান্ত কোনও চিঠি এখনও আমি পাইনি।’’
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই দাবি করে, এ রাজ্যে বিভিন্ন পুরসভায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। পরে কলকাতা হাই কোর্ট দুই নিয়োগ মামলারই ভার দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যে ১৭টি পুরসভায় নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। ওই সময়ে পুরসভায় বিভিন্ন পদে মোট ৩ হাজার ৬৫০ জনের চাকরি হয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি পুরসভায় ১ হাজার ৮২৯ জনের নিয়োগই নাকি ‘বেআইনি’। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানার রয়েছে নদিয়ার তিনটি পুরসভা। কৃষ্ণনগর পুরসভায় ২০০ এবং রানাঘাট পুরসভায় ১০১ জনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করে সিবিআই। এ ছাড়া নবদ্বীপ ও বীরনগর পুরসভাতেও বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই।