কোন বিধানসভা এলাকায় কত কোম্পানি বাহিনী থাকবে তা-ও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই হিসাব অনুযায়ী, সিতাইয়ে ১৮, মাদারিহাটে ১৮, নৈহাটিতে ১৩, হাড়োয়ায় ১৮, মেদিনীপুরে ১৯ এবং তালড্যাংরায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেবে রাস্তায়। ১০২ কোম্পানি বাহিনী থাকবে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভোট শেষে স্ট্রংরুম গার্ড দেবে ছয় কোম্পানি বাহিনী।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য মোট দেড় হাজারেরও বেশি (১৫৮৩টি) ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে মেদিনীপুর আসনে। কমিশন জানিয়েছে, সিতাইয়ে ৩০০, মাদারিহাটে ২২৬, নৈহাটিতে ২১০, হাড়োয়ায় ২৭৯, মেদিনীপুরে ৩০৪ এবং তালড্যাংরায় ২৬৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রাখা হয়েছে। সিতাইয়ে ভোটারের সংখ্যা ৩,০৫,৫৬৫। মাদারিহাটে ২,২০,৩৪২। নৈহাটিতে ১,৯৩,৮৩৫। হাড়োয়ায় ২,৯১, ৭১৪। তালড্যাংরায় ২,৪১,৪৯৭। মেদিনীপুর আসনে ভোটারের সংখ্যা ২,৯১,৭১৫।
নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এখন সাংসদ। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। তাঁর জয়ের পর নৈহাটির বিধানসবা আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক হাজি নুরুল সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তিনি এ বার লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে জিতেছিলেন। জয়ের কয়েক মাস পরেই প্রয়াত হন নুরুল। সিতাইয়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। তালড্যাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী এখন বাঁকুড়ার সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুরে জুন মালিয়া সাংসদ হওয়ায় বিধায়কের পদ ফাঁকা হয়ে যায়। মাদারিহাটে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ছ’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিই ছিল তৃণমূলের দখলে। একমাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির। এ বারের ভোটে কোন শিবির ক’টি আসন পায়, সে দিকেই নজর বঙ্গবাসীর। ২৩ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফলঘোষণা হবে।