• দিগভ্রষ্ট হয়ে খড়্গপুর শহরে হাতির দল, ভাঙল তৃণমূল অফিস, আতঙ্ক
    বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, খড়গপুর: রাতের অন্ধকারে শহরের ভিতর ঢুকে এল হাতির দল। শাবক সমেত ঘুরে বেড়াল শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। খাবারের সন্ধানে ভাঙল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাঁচিল ও গেট। হাতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল কর্মীদের। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন। ছবিটা খড়গপুর শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের। মঙ্গলবার সকাল থেকে খড়গপুর টাউন থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাতি দেখতে ভিড় জমান বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। উপায়ন্তর না দেখে বনদপ্তর ও প্রশাসনের তরফে বেশকিছু রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শহরের ভিতরে দলবদ্ধ হাতি ঢুকে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। হাতির দল ঢোকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শহরবাসী। যদিও বনদপ্তরের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। 


    খড়গপুর ডিভিশনের ডিএফও মণীশকুমার যাদব বলেন, হাতির খেদানো চলছিল। সেই সময় একদল হাতি শহরের ভেতর ঢুকে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তবে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গোটা এলাকা বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা ঘিরে রেখেছিল। 


    বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি ছিল কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায়। সোমবার গভীর রাতে বনদপ্তরের তরফে বিশেষ ড্রাইভ শুরু হয়। সেই সময়ে হাতির দলটি দিগভ্রষ্ট হয়ে খড়গপুর শহরের দিকে যেতে শুরু করে। ভোরের আলো ফুটতেই হাতির দল সুভাষপল্লি, পদ্মপুকুর হয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহকুমা হাসপাতাল ময়দানে এসে আশ্রয় নেয়। জানা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হাতির দল স্থানীয় এক তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে গাছের ক্ষতি করে। জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানের জঙ্গলে হাতির দল বিকেল পর্যন্ত ছিল। হাতি দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। এরপর হাতির দলকে হুলা পার্টির সহযোগিতায় রেলের ট্রেনিং সেন্টারের পাশ দিয়ে রামনগরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 


    তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয়ের পাঁচিল, গেট ভেঙেছে। এই ধরনের ঘটনা আগে কোনও দিন ঘটেনি। রেল শহরের মানুষ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে হাতির গতিবিধি। এদিন হাতি দেখতে এসেছিলেন খড়গপুর শহরের বাসিন্দা বিকাশ যাদব। তিনি বলেন, ভোরেই খবর পেয়েছিলাম। তাই হাতি দেখতে এলাম। এই চত্বরে প্রচুর বস্তি আছে। বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। এদিন সকাল থেকেই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রোহন দাস। তিনি বলেন, বনদপ্তরের ভূমিকায় খুশি। বিকেলের পর হাতি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)