• মাটির সাজে সজ্জিত যুগলমিলন পুজো আয়োজিত প্রাচীন মায়াপুরে
    বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপে বৈষ্ণব ও শাক্তদের মিলন উৎসব রাস। রাসে প্রাচীন মায়াপুর প্রথম লেনের বৈষ্ণবমতে শ্রীশ্রী যুগলমিলন পুজো হয়। ৬৫বছরের পুরনো পুজোর দায়িত্বে থাকে নবদ্বীপ ভারততীর্থ ক্লাব। প্রতিমা উচ্চতায় প্রায় ১০ ফুট, আর চওড়ায় ৭ ফুট। এখানে সম্পূর্ণ মাটির সাজে সজ্জিত রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের পুজো হয়। মাটি দিয়েই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঝর্ণা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তারই সামনে কদমগাছের নীচে কৃষ্ণের কোলে মাথা দিয়ে রয়েছেন রাধা। রাধাকৃষ্ণ দুই সখী দ্বারা বেষ্টিত। রাধাকৃষ্ণের কাপড়, চালচিত্র-সবই মাটির সাজে সজ্জিত। একসময় এই এলাকায় রাস উৎসবে কাছাকাছি কোনও পুজো হতো না। পরে গদাই সাহা, চন্দন চক্রবর্তী, বাসুদেব সাহা, প্রদীপ সাহা ও সাধু পালদের হাত ধরে যুগলমিলন অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণের পুজোর সূচনা হয়েছিল। সেই উদ্যোক্তাদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। রাসপূর্ণিমার দুপুরে প্রথা মেনে খিচুড়ি, পুষ্পান্ন, পঞ্চব্যঞ্জন, ভাজা, পরমান্ন, মালপোয়া ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই প্রসাদ পথচারী ও পড়শিদের মধ্যে বিলি করা হয়। যুগলমিলন পুজো কমিটির সভাপতি রতন বিশ্বাস বলেন, সদস্যদের দেওয়া চাঁদায় এই পুজো হয়। পুজোর সন্ধ্যায় স্থানীয় কীর্তনশিল্পীরা মণ্ডপে কীর্তন পরিবেশন করেন। ১৫ নভেম্বর রাসপূর্ণিমার পুজো হবে। ১৬ নভেম্বর শোভাযাত্রা বা আড়ং। তবে এবার আমাদের প্রতিমার কাঠামো একটু কমজোরি হওয়ায় শোভাযাত্রায় বের করা হবে না। তার বদলে দর্শনার্থীদের জন্য আমরা কয়েকদিন মণ্ডপে প্রতিমা রেখে দেব। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)