বেল্ট কিনতে গিয়ে যৌন হেনস্তার শিকার নাবালিকা, ধৃত ১
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, পতিরাম: স্কুলে এসে পাশের দোকানে বেল্ট কিনতে গিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, দোকানে বেল্ট না থাকায় পাশের বাড়িতে যেতে বলে ব্যবসায়ী। সেখানেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগে পুলিস গ্রেপ্তার করল তাকে।
ছাত্রী নিজেকে রক্ষা করে স্কুলের শিক্ষকদের কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি জানালে পুলিসকে বিষয়টি জানায় কর্তৃপক্ষ। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পতিরাম থানার পুলিস। মঙ্গলবার পতিরামের কদমতলির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি সৎকার সাংবো বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবোধ চন্দ্র দাস জানান, স্কুল শুরুর কিছু আগে ওই ছাত্রী আসে। একটি দোকানে বেল্ট কিনতে গেলে দোকানদার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। কোনওরকমে ছাত্রী ছুটে এসে স্কুলে কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি জানায়। অভিভাবকদের দ্রুত খবর দিয়ে পুলিসকে জানানো হয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকা পিতৃহীন। মায়ের সঙ্গে থাকত সে। মা বলেন, স্কুল থেকে আমাকে ঘটনার খবর দেওয়া হয়। এরপর মেয়ের কাছে সব কথা শুনে থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিস সূত্রে খবর, বেল্ট কেনার জন্য মায়ের কাছে সোমবারই টাকা নিয়েছিল নাবালিকা। সেদিন স্কুলের কাছেই স্কুলের ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রীর দোকানে গেলে অভিযুক্ত মঙ্গলবার বেল্ট নিতে আসতে বলে। সেইমতো এদিন বেল্ট আনতে গেলে নির্যাতন করে অভিযুক্ত। এদিনের ঘটনার পর সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, অভিযুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকীর মন্তব্য, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতৃত্বের পরিচিত হতে পারে। কিন্তু কোনওভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয়। সে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে কাজ করে। বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।