উচ্চ প্রাথমিক: কাউন্সেলিংয়ে না যাওয়ার ঘোষণা বহু প্যানেলভুক্তর
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত বিপুল সংখ্যক প্রথম মেরিট প্যানেলভুক্ত প্রার্থী। এর ফলে চাকরি পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। যাঁরা অনুপস্থিত থাকছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই শিক্ষকতার বা অন্যান্য সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন (কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে)। কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত থাকার ফলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার বিষয়টি গতি পাবে। কারণ একবার কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত হয়ে চাকরিতে যোগ না দিলে সেগুলি নন-জয়েনিং পোস্ট হয়ে যায়। সেগুলিতে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে কাউন্সেলিংয়েই না এলে সেই পদে ফের কাউন্সেলিং করে দ্রুত নিয়োগ করা যায়। ওয়েটিংয়ে থাকা প্রার্থীদের সাহস জোগাতে অনেকেই আগাম জানিয়ে রাখছেন, তাঁরা কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত হবেন না। চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাছে।
বীরভূমের তিথি ঘোষ সংস্কৃত জেনারেলের প্রার্থী। তাঁর ওয়েটিং লিস্ট ২০। তবে ইতিমধ্যেই তিনি ঝাড়খণ্ডে উচ্চ মাধ্যমিকস্তরের পিজিটি হিসেবে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কাউন্সেলিংয়ে যাবেন না। তাঁর পরিবর্তে ওয়েটিংয়ে থাকা অন্য একজন চাকরি পাক। ১১ নভেম্বরের কাউন্সেলিংয়ে আসেননি সৌমেন দাস। তিনি ইংরেজি জেনারেলের প্রার্থী। ২০১৭ সালে তিনি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। ১৭ র্যাঙ্ক করা তফসিলি জাতিভুক্ত ইংরেজির প্রার্থী জয়তী দাসও ২০১৭ সালে প্রাথমিকের চাকরি পেয়েছেন। তাই তিনি কাউন্সেলিংয়ে না যাওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। বনগাঁর একটি স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক উচ্চ প্রাথমিকে পিওর সায়েন্স বিভাগের চাকরিপ্রার্থী সুব্রত বিশ্বাসও আগাম জানিয়েছেন কাউন্সেলিংয়ে না যাওয়ার কথা।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একজন সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত মহিলা প্রার্থী জেনারেলে র্যাঙ্ক করলে তাঁর জন্য চারটি পদে যোগদানের সুযোগ খোলে। অসংরক্ষিত, সংরক্ষিত, ছেলে এবং মেয়েদের স্কুলে তাঁর জন্য দরজা খোলে। এমন প্রার্থীরা কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে আরও চারজন প্রার্থীর সামনে একটা সুযোগ তৈরি হয়। সংরক্ষিত ছেলেদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি হয় দুই। তাই বিভিন্ন বিষয়ের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের আশা, তাঁরা আজ না হোক কাল চাকরি পাচ্ছেনই। তাছাড়া আদালতেরও নির্দেশও রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনকেই চাকরি দিতে হবে। সবাই উপস্থিত থাকলে তা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠত কমিশন তথা শিক্ষাদপ্তরের কাছে।