জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে হাউস স্টাফ নিয়োগ, আনা হচ্ছে ডায়ালিসিস মেশিন
বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ১২ জন হাউস স্টাফ পেল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল। ২৭ জন হাউস স্টাফের মধ্যে ১২টি পদ খালি ছিল। এরমধ্যে কেউ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারও আবার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার নয়া হাউস স্টাফ পেতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে ৫৫ জন অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে থেকে যতজন হাউস স্টাফ দরকার ছিল তা মিলেছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ। তিনি বলেন, নয়া হাউস স্টাফ পেয়ে যাওয়ায় মেডিক্যালে বিভিন্ন বিভাগে আর জুনিয়র ডাক্তারের সমস্যা থাকবে না।
এদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালে পাঁচটি নয়া ডায়ালিসিস মেশিন বসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সুপার। তিনি বলেন, এদিন স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেখানেই নতুন মেশিনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন মেশিন চালু হয়ে যাবে। ফলে ডায়ালিসিস পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আর কোনও আশঙ্কা থাকবে না।
সদর হাসপাতালে পিপিপি মডেলে চলা ডায়ালিসিসের যে মেশিনগুলি রয়েছে, সেগুলি পুরনো হয়ে গিয়েছে। ফলে মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দিন কয়েক আগেই খারাপ হয়ে পড়ায় তা মেরামত করা হয়। মেশিনের কারণে ডায়ালিসিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, সেকারণেই দ্রুততার সঙ্গে নয়া মেশিন বসানোর এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে মেডিক্যালের তরফে।
এরই পাশাপাশি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে কী কী পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে, সেব্যাপারে রোগীর পরিবারকে জানাতে এবার সদর ও সুপার স্পেশালিটি দুই হাসপাতালেই চালু হচ্ছে মাইকিং। এনিয়ে সুপার বলেন, অনেকে হয়তো জানেন না, রোগীর ট্রলি কিংবা হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ওয়ার্ডবয় রয়েছে। সেটা তাঁদের কাজ। কিন্তু জানা না থাকায় পরিবারের লোকেরাই ট্রলি ঠেলে নিয়ে যান। এই ছবি সামনে আসায় হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। এছাড়াও রোগীর পরিবার অনেক সময় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন, হাসপালের কর্মী পরিচয় দিয়ে রোগী ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ কেউ নাকি টাকা দাবি করেন। বিশেষ করে প্রসূতি বিভাগে ওই অভিযোগ মেলে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে আমরা রোগীর পরিজনদের এটাই জানাতে চাইছি, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পেতে কোথাও কাউকে টাকা দিতে হয় না। এমনটা যদি কেউ দাবি করেন, তা হলে দেবেন না। উল্টো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
রোগী পরিষেবার উপর নজরদারি চালাতে এবং হাসপাতাল কর্মীদের কাজে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নিয়মিত সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সুপার।