সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কোচবিহার শহরের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিস থেকেই সিতাইয়ের উপ নির্বাচন সামলাতে খোলা হয়েছে ওয়ার রুম। সেই ওয়ার রুমের মূল দায়িত্বে জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। মোট ৩৪ জন শিক্ষক নেতা সিতাইয়ের উপ নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তের হালহকিকতের খবর নেবেন। সেখান থেকে যে খবর এসে পৌঁছবে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজন মতো প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। এজন্য তিনজন আলাদাভাবে নিযুক্ত থাকবেন। জেলার বাকি নেতৃত্বের অনেকে সিতাই কেন্দ্রের বাইরে দিনহাটায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরেই জেলা পার্টি অফিসের তিনতলায় তৃণমূলের ওয়ার রুম প্রস্তুত হয়ে যায়। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা সভাপতি। অভিজিৎবাবু বলেন, লোকসভা নির্বাচনের মতো গুরুত্ব দিয়েই সিতাই উপ নির্বাচনে ভোট করছি আমরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতোই এবারও আমাদের ওয়ার রুম থেকে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। দলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা সরাসরি বুথ, অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর যাচাই করা হবে। তিনি নিজে ওয়ার রুমেই থাকবেন। বাকি নেতৃত্ব সিতাই কেন্দ্রের বাইরে থাকবেন। এই ভোট নিয়ে তৃণমূল প্রথম থেকেই অত্যন্ত ‘সিরিয়াস’। রেকর্ড ভোটে সঙ্গীতা রায়কে জেতানোর লক্ষ্যে সমস্ত স্তরের নেতা প্রথম থেকেই মাঠে। প্রচারের শেষ পর্বে এসে জেলা নেতৃত্ব দাবি করে, সিতাইতে এবার ৯০-৯৫ শতাংশ পোল করানোর জন্য আগে থেকেই কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে একই বাড়িতে দশবার যাওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারাও সিতাইতে প্রচার সেরে গিয়েছেন। হাইভোল্টেজ সেই প্রচারের সামনে বিজেপি আগাগোড়াই ছিল নিষ্প্রভ। গেরুয়া শিবিরের কোনও স্টার ক্যাম্পেনারই সিতাইতে প্রচারে আসেননি। যদিও বিজেপি’র দাবি, তারা বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিয়েছিল। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, দিনহাটার অজয় রায়ের বাড়ির পার্টি অফিস থেকেই আমরা পুরো বিষয়টি দেখব। জেলা পার্টি অফিস থেকেও যথারীতি নজরদারি চলবে।