• আবাস তালিকায় নাম নেই, বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা
    বর্তমান | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: কারও টিনের ঝুপড়ি, অনেকের আবার মাটির ঘর। এলাকায় অভাবী বলেই পরিচিত তাঁরা। পাকা ঘরের দাবিতে একাধিকবার আবেদন জানালেও এবারের তালিকায় ওই অভাবীদের নাম নেই বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বঞ্চিত মহিলারা একজোট হয়ে মালদহের চাঁচল ১ ব্লক অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। হাতে আবেদনপত্র নিয়ে তাঁরা প্রায় একঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। সকলের মুখে ছিল একটাই স্লোগান, ‘ঘর চাই, ঘর চাই’। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতির আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন মহিলারা।


    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল ১ ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১৮ হাজার উপভোক্তার নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়। সমীক্ষার কাজ শেষের পথে। এমন সময় অভিযোগ উঠল, মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাটোলা গ্রামের প্রায় ৫০ জন দিনমজুর পরিবারের নাম নেই তালিকায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কাঁচা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আবাস যোজনার আওতায় আনা হয়নি। অথচ যাদের বিল্ডিং রয়েছে এমন পরিবারকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।


    নিজেদের প্রকৃত প্রাপক হিসেবে দাবি করেই ব্লক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মহিলারা। রিঙ্কি খাতুনের কথায়, স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। এখনও পাকা বাড়ি করতে পারিনি। পাঁচবার ব্লক দপ্তরে আবেদন করলেও আবাসের তালিকায় নাম ওঠেনি। সুমা খাতুন বললেন, একবছর আগে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে শোওয়ার ঘর। টিনের বেড়া দিয়ে সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমরাই তো ঘর পাওয়ার যোগ্য। 


    বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে আন্দোলন প্রত্যাহার করান চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, এলাকায় সমীক্ষা চলছে। অযোগ্যদের নাম অবশ্যই বাদ যাবে। ব্লক অফিসে বাক্স রাখা হয়েছে। যাঁদের নাম নেই সেখানে আবেদন করতে পারেন।


    বিক্ষোভ শেষে মহিলাদের দপ্তরে ডেকেছিলেন চাঁচল ১ এর বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া। দপ্তর থেকে বেরিয়ে আয়েশা খাতুন জানান, বিডিওর কথায় বাক্সের মধ্যে আবেদন জমা করেছি।


    যদিও মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, অযোগ্যরা ঘর পাচ্ছেন এই অভিযোগ ঠিক নয়। তালিকা নির্ভূল করতেই সমীক্ষা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)