সংবাদদাতা, ইটাহার: খসে পড়ছে ছাদের চাঙর। দেওয়ালে ফাটল। বিপদ মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন ক্লাস করে চলেছে খুদে পড়ুয়ারা। ইটাহার চক্রের মারনাই অঞ্চলের বগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ইটাহার চক্রের এসআই বিপ্লব বিশ্বাস। সুই নদী লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামীণ স্কুল বগড়ুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৮ জন পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন পাঁচ শিক্ষক। নদী তীরবর্তী হওয়ায় প্রতিবছর প্লাবিত হয় বগডুমা। সেজন্য ২০০৫ সালে শিক্ষা দপ্তর ওই স্কুলের দ্বিতল ভবন তৈরি করে। অফিস কক্ষ সহ রয়েছে পাঁচটি ঘর। কিন্তু গত ১৬ বছর কেটে গেলেও একতলা ও দোতলা ভবনের অধিকাংশ দেওয়ালে প্লাস্টার করা হয়নি। ভেঙে গিয়েছে ভবনের বাইরের অংশের জানালার কংক্রিটের শেড। বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। প্লাস্টার না থাকায় কংক্রিটের ছাদ চুঁইয়ে বর্ষাকালে শ্রেণিকক্ষে জল পড়ে বলে দাবি। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জাসমিন খাতুনের কথায়, আমাদের স্কুলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে ক্লাস করতে ভয় লাগে। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে ভবনের ছাদের কংক্রিটের চাঙর খসে পড়ে বলে দাবি পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। কয়েক দিন আগে চাঙর খসে পড়লে অল্পের জন্য রক্ষা পায় তৃতীয় শ্রেণির বেশকিছু পড়ুয়া। অন্য ব্যবস্থা না থাকায় বিপদের আশঙ্কা নিয়েই গ্রামের একমাত্র সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠান অভিভাবকরা। এক অভিভাবক আমজাদ হুসেন বলেন, গ্রামের একমাত্র স্কুল ভবনটি বিপজ্জনক। সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি। স্কুলের এই সমস্যার কথা এসআই ও বিডিও অফিসসহ জেলা শিক্ষা দপ্তরে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। কিন্তু সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এমনকী স্কুলের একাধিক শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ না থাকায় বস্তা পেতে পড়াশোনা করে পড়ুয়ারা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিশিকুল আলম বলেন, সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। প্রশাসন দ্রুত স্কুলের ভবনটি সংস্কারের ব্যবস্থা করলে শিক্ষক ও পড়ুয়ারা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।