মঙ্গলবার রাত্রি বারোটা থেকে বুধবার সকাল ছটা পর্যন্ত নয়ন দের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে গুড়গুড়িপাল থানার প্রায় ৪০ জন পুলিসকর্মী। নয়ন দের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে আচমকা তার বাড়িতে দরজায় লাথি মারে পুলিস । এর পর পুলিস তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে সারা রাত তার বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে পুলিস। এতে গোটা পরিবার পরিবারের যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি বিজেপির মন্ডল কমিটির সম্পাদক।
বিজেপি নেতা নয়ন দে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, আমার অপরাধ একমাত্র আমি বিজেপি করি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি, পুলিস যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে আমাকে আটকে রাখতে পারবে না আমি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব।
এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস ভোট প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য বিপজ্জনক কাণ্ডকারখানা করছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদরা পঞ্চায়েতের বিজেপির কার্যকর্তা নয় দে-কে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তার বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিস। ভোটে যাতে বিজেপির কর্মকর্তা অংশ নিতে নান পারেন তার জন্য তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, শালবনির সাতপটি এলাকায় বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভযোগ উঠল। আজ সকালে তিনি যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন তাকে ঘিরে ধর মারধরে করে তৃণমূলের লোকজন। এমনটাই অভযোগ বিজেপি। তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হচ্ছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।