অর্ণব দাস, বারাকপুর: নৈহাটিতে চলছে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তার পাশের কেন্দ্র ভাটপাড়ায় শুটআউট। খুন তৃণমূল নেতা। মৃত নেতার নাম অশোক সাউ। তিনি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি। গুলিবিদ্ধ নেতাকে দ্রুত নিয়ে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। সব মিলিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
জানা যাচ্ছে, এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক। সেই সময় ৭-৮ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হামলা চালায়। কয়েক রাউন্ড গুলির পর বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি। দোকানে ঢুকে প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর দেহে চারটি গুলি লাগে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে কোনও পদে ছিলেন না বলেই দলীয় সূত্রে খবর।
এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলেরই একাংশ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সে কথা অস্বীকার করেছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা বলা মুশকিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা জানা যাবে।” বারাকপুর লোকসভার সাংসদ পার্থ ভৌমিক জানান, “এই হামলার পিছনে অর্জুন সিংয়ের হাত রয়েছে।”
চায়ের দোকানের মালিক বলেন, “দোকানে অনেক ভিড় ছিল। আমি চা করছিলাম। হঠাৎ গুলি চলে। অশোক প্রতিদিন চা খেতে আসতেন। বাকি কে বা কারা গুলি চালল, কেন হামলা করল কিছু বলতে পারব না।” এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, “কী হল আমরা বুঝতে পারিনি। হঠাৎ বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসতে থাকে। দোকানের ভিতরেও বোমা ছোড়া হয়। দুষ্কৃতীরা দোকানের ভিতরে ঢুকে আসে। আমার কোলে বাচ্চা ছিল। কোনও মতে পালিয়ে বাঁচি।”