• ‘চার্মিং-ডার্লিং‌’, দার্জিলিং চিড়িয়াখানা ঘুরতে ঘুরতেই দুই তুষারচিতার নাম রেখে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
    আনন্দবাজার | ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সকাল সকাল দার্জিলিং শহরের রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যালের দিকে রাস্তা দিয়ে হাঁটার আগে থমকে যান দার্জিলিঙের পদ্মজা নায়ডু জ়ুলজিক্যাল পার্কের সামনে। চিড়িয়াখানার নতুন দুই অতিথিকে দেখে ভীষণ খুশি দেখাল মমতাকে। বুধবার দুই তুষারচিতা (স্নো লেপার্ড) শাবকের নামকরণও করলেন তিনি। একটির নাম দিলেন ‘ডার্লিং’, অন্যটির নাম রাখলেন ‘চার্মিং’। চিড়িয়াখানার সামনে দাঁড়িয়ে ওই দুটি নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চারটি রেড পান্ডারও নামকরণ করেছেন মমতা। কিছু ক্ষণ সেখানে ঘুরে সোজা ম্যালের দিকে হাঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই তুষারচিতার নাম মুখ্যমন্ত্রী রাখায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি পার্ক কর্তৃপক্ষ।

    গত জুলাই মাসে দার্জিলিঙের পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে ছয় নতুন অতিথির ‘আবির্ভাব’ হয়। ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে চারটি রেড পান্ডা এবং দু’টি স্নো লেপার্ড জন্ম নেয়। রাহালা এবং নাকা নামে যে দুটি তুষারচিতা রয়েছে, বুধবার তাদের দুই সন্তানের নাম রাখলেন মমতা। বস্তুত, ওই দু’টি শাবকের জন্মের ফলে চিড়িয়াখানায় তুষারচিতার সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়েছে। আর নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে লাল পান্ডার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯টি। মমতা জানান, চার রেড পান্ডা শাবকের নাম পাহাড়িয়া, ভিক্টরি, ড্রিম এবং হিলি।

    লাল পান্ডা এবং তুষারচিতার পাশাপাশি হিমালয়ান নেকড়ে, টাকিন, হিমালয়ান নীল ভেড়া, হিমালয়ান থরের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের কৃত্রিম প্রজনন সফল হয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়। অন্য দিকে, বুধবার সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ম্যালের পাশে একটি মার্কেট কমপ্লেক্সে ঘোরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাস্তার দু’ধারে ভিড় উপচে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু জিনিস কিনেছেন। ছোটদের হাতে চকোলেট গুঁজে দেন। ম্যাল চত্বরে কেনাকাটি করেন। সমানতালে চলে জনসংযোগ।

    সোমবার থেকে পাহাড় সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলে পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি জিটিএ, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সমস্ত উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠন করার পাশাপাশি ওই সমস্ত বোর্ডের অডিট, প্রকল্পের অগ্রগতির উপর নজরদারির জন্য ‘মনিটরিং সেল’ তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পাহাড়ের তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে তুলতে চারটি ‘স্কিল সেন্টার’ চালু করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)