এই অদ্ভুত মেলা প্রতি বছর বসে না। এবারে প্রায় এক যুগ পরে এগারো বছর পরে এখানে বসেছে এই বন্ধু মেলা তথা 'সহেলা' মেলা। মা মনসাকে সামনে রেখে এই বন্ধুত্বের মেলবন্ধনের মেলা হয় এখানে।
সম্ভাব্য বন্ধুরা সমবেত হলে এই মেলায় একে অপরকে নানা উপচারে বরণ করা হয়। এরপর মালা পরিয়ে তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তারপর সারাজীবনের মতো একে অপরের সঙ্গে 'সই' বা ' মিতালি' পাতিয়ে নেওয়া হয় এখানে।
দূর দূরান্ত থেকে দলে দলে মানুষ এই মেলায় যোগ দিতে আসেন। বন্ধুত্ব পাতাতে। আর হ্যাঁ। এখানে কোনো জাতি, ধর্ম বা বর্ণের বালাই নেই। যে কেউ এখানে যে-কারও বন্ধু হতে পারেন। আবার এক নয়, একাধিক বন্ধুত্বও তাঁরা পাতাতে পারেন। এ এক মজার মেলা। আনন্দের মেলা।
দামোদর আর দ্বারকেশ্বর নদের অববাহিকায় এই মেলা হয়। বন্ধুত্বের এই রীতি পালিত হয় বাঁকুড়ার ইন্দাস, বর্ধমানের খন্ডঘোষের নানা এলাকায়। এক যুগ পরে-পরে ফিরে আসে এই মেলা। এবারে হচ্ছে সরঙ্গায়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, যুগ যুগ ধরে এই মেলা চলে আসছে। বলা হয়, ইংরেজি ১৩০০ সাল থেকে এই মেলা চলে আসছে। মেলায় থাকে আনন্দ উপভোগের নানা উপকরণ। তিনদিন ধরে যাত্রা, ছৌ নাচ, গানের অনুষ্ঠান হয়। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। চলবে আরও দু'দিন। শেষ হবে বৃহস্পতিবার। যাবেন নাকি, এই মেলায় বন্ধুত্ব পাতাতে?