নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুশির পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘ফ্রি ফায়ার খেলার সূত্র ধরে ওদের প্রেম হয়েছিল। পরিবারের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে প্রেমিককে বিয়ে করেছিল খুশি। ছেলের বাড়িতেও আপত্তি ছিল বলে শুনেছি। তাই বেশির ভাগ সময়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত শাহিন।’’ তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোনও গন্ডগোল ছিল না। তবে সাংসারিক অশান্তির মূলে ছিল অভাব। খুশির স্বামী তেমন কোনও কাজ করেন না বলে দাবি করেছেন ওই আত্মীয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন জামাই।
পরিবার সূত্রের খবর, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস খুশির। বুধবার বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পরেও মেয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছে না দেখে তাঁকে ডাকাডাকি করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু সাড়া মেলেনি। বার বার দরজায় টোকা দেওয়া হয়। কিন্তু দরজা খোলেননি। শেষ পর্যন্ত দরজা ভাঙা হয়। ঘরে ঢুকে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুশিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’