আগুন নজরে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই শুরুতে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পাঠানো হয় দুর্ঘটনাস্থলে। পরে আরও ৬টি ইঞ্জিন যায়। যাদবপুর থানা থেকেও পুলিশের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাজার এলাকা হওয়ায় অনেকগুলি ছোট ছোট ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। কিছু দাহ্য বস্তুও সেখানে মজুত ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগুনের ভিতর থেকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত দোকানগুলিতে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারগুলিতেই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঝুপড়ি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাজারের ভিতরে। আগুনের যে তীব্রতা, তাতে প্রচুর ঝুপড়ি দোকানের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সারি সারি ঝুপড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে।
শুধু ঝুপড়ি দোকানই নয়, বাজার এলাকায় ফুটপাথের ধারে থাকা কিছু স্থায়ী দোকানও কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। দমকলের কাজের তদারকি করেন তিনি। তিনি জানান, দমকল আধিকারিকেরা খতিয়ে দেখার পরেই আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, আগুন লাগার পর দমকলের ইঞ্জিন আসতে কিছুটা দেরি করেছিল। যদিও এই অভিযোগ মানছেন না দেবাশিস। তাঁর কথায়, দমকল দেরিতে এলে আগুন এ ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যেত না। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন দেবাশিস।