প্রতিবছরের মতোই এই বার কালনার মন্তেশ্বরে পান বয়েরা গ্রামে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ধান কাটার কাজে আসে। সেই রকমই জেসাই মুর্মু নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকও সেখানে যায়। এদের বাড়ি ঝাড়খন্ড রাজ্যে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই পরিযায়ী শ্রমিক সস্ত্রীক মন্তেশ্বর এ পান বয়েরা গ্রামে ধান কাটা কাজে আসে, এবারও সেই মতো কাজে আসে। জেসাই মুর্মু মেয়ে তিন মাসের হওয়ায় মা ও শিশু কন্যাটিকে প্রথমে কাজে নিয়ে আসেনি। বাবা জেসাই মুর্মু কাজে আসার সময় রাশমি মান্ডি নামে অন্য এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যায়।
এই খবর ঝাড়খণ্ডের শিশুটি মায়ের কাছে পৌঁছালে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে মা রাসমেরি মন্তেশ্বরে পান বয়েরা গ্রামে চলে আসে। স্বামী অন্য মেয়ে নিয়ে ঘর করায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বচসা হয়। আজ ভোরে শিশুটি তার বাবার কাছে ধরতে দিয়ে প্রাতঃকর্ম করতে যায় মা। ফিরে এসে দেখে শিশু-সহ বাবা উধাও। অনেক খোঁজ খবর করায় পরে বাবাকে সন্ধান পেলেও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। শিশুর বাবাকে গ্রামবাসীরা চাপ দিলে সে জানায় শিশুটিকে খুন করে গ্রামে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খড়ী নদীর জলে ফেলে দিয়েছি।
উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এরপর শিশুটির বাবাকে মারধর করে এবং পরে পুলিসে খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মন্তেশ্বর থানার পুলিস এসে মা ও বাবাকে আটক করে এবং নদী জলে তল্লাশি চালায়। শেষ খবর পাওয়া অবধি শিশুটি এখনও পর্যন্ত নদীর জল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিস তৎপরতার সঙ্গে দেহটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।