একুশের পর ছাব্বিশ। এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আর খুব বেশি দেরি নেই। আজ, বুধবার উপনির্বাচন হয়ে গেল ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে। শমীক বলেন, 'এই সরকার ছাব্বিশ পর্যন্ত চলবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের ধ্বংস, তৃণমূলের কংগ্রেস জন্মের মধ্যেই নিহিত ছিল। রাজনৈতিক কারণে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে, সমাজবিজ্ঞানের অভিমুখে চলতে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতন ঘটে যাবে'।
তাহলে কি সময়ে আগেই রাজ্য়ে বিধানসভা ভোট? খোলসা করেননি শমীক। তিনি বলেন, 'বিজেপি কোনও বোমা-গুলি, কোনও ৩৫৬ এসব নিয়ে তৃণমূলকে সরানোর পক্ষপাতী নয়। তৃণমূল যাচ্ছে, তৃণমূলের বিদায় ঢাক বেজে গিয়েছে। তৃণমূলের বিদায় অবশ্যম্ভাবী'।
এর আগে, শুভেন্দুর অধিকারী গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের দ্বাড়িবেড়িয়া এলাকায় বিজয়ী সম্মিলনীতে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'আপনারা জানেন, ২০২৬-র এদেরকে সরাতে হবে। আপনারা চাইলে, আমরা চাইলে ২৭ আগস্টই নবান্ন থেকে তাড়াতে পারতাম। আমরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান নয়। ভোটের হারিয়ে আমাদের জিততে হবে। আমি বলতে পারি, আরজি করের পর তৃণমূলের যা অবস্থা, থার্ড হবে। পশ্চিমবঙ্গে আগামী দিনে আমরা সরকার তৈরি করব। তারপর গুন্ডাদের উলটো দিকে ঝুলিয়ে সোজা করব'।
এদিকে ২৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ আসনে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা কটাক্ষ, '২৩ তারিখে যখন ফল বেরোবে, বাংলার মানুষ ৬-০ থাপ্পড় মারবে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে। তখন শমীকবাবুই পাল্টি খেয়ে বলবেন, নির্বাচনে অমুক, নির্বাচনে তমুক। আর কার বিদায়ঘণ্টা বেজেছে? আগামী ২৩ তারিখ দুপুরবেলার পর যখন রেজাল্ট সামনে চলে আসবে, তখন প্রত্যাশিত উত্তরটা তৃণমূলকে দিতে হবে না, শমীকবাবু নিজেই দিয়ে দেবেন'।