মনসুর হাবিবুল্লাহ, দিনহাটা: বুধবার সকালে সাংসদের সঙ্গে ভোট দিতে বুথে আসেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। একই বুথের ভোটার তাঁরা। ভোট দেওয়ার পালা সাঙ্গ হতেই দিনহাটায় চলে আসেন এমপি জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। সিতাই ব্লকজুড়ে ঘুরে বেড়ান তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা।
আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সঙ্গীতা রায়ের ভোটকেন্দ্র ছিল। ভোট দেওয়ার পরে প্রথমে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেই ঘুরে দেখেন তিনি। সর্বত্রই যেন ফিল-গুড আবহাওয়া। প্রার্থীর গাড়ি দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন দলের কর্মীরা। ভোট কেমন হয়েছে, জিজ্ঞাসা করেন জোড়াফুল প্রার্থী। সকলেই জানান, খুবই ভালো। কোথাওবা সামান্য অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেটা শোনার পরেই নামেন সেই বুথে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ‘ভাইয়া’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। তারপরেই তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকার জন্য অনুরোধ করেন সঙ্গীতা। ভোটের আবহাওয়া দেখতে বেরিয়ে প্রার্থী সঙ্গীতা রায় বুঝে যান হাওয়া কোন দিকে বইছে। সাধারণ মানুষকে বেশি করে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে যান।
তৃণমূল প্রার্থীর এই কার্যকলাপে কার্যত ঘুম উড়ে যায় বিজেপি প্রার্থী দীপককুমার রায়ের। সকালে নিজের বুথে ভোট দিয়ে তিনিও বেরিয়ে পড়েছিলেন ভোট দেখতে। অধিকাংশ বুথেই তাঁর এজেন্ট ছিল না। তৃণমূলের চক্রান্ত এসব, বলে সরব হন। পাল্টা কটাক্ষ করেন সঙ্গীতা রায়। পদ্মের বিপক্ষে কটাক্ষ করলেও নির্দল দীপককুমার রায়ের সঙ্গে এদিন আড্ডা দিয়েছেন সঙ্গীতা। মাঝেমধ্যে ভোটের বিষয়ে মোবাইলে পরামর্শ নিয়েছেন এমপি জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছ থেকে। জয়ের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত! মানুষের আশীর্বাদ পেলে রেকর্ডও করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
সঙ্গীতা রায় বলেন, ভোটের ময়দানে বিরোধীদের দেখাই পাওয়া গেল না। নির্বাচনে জয় নিশ্চিত। মানুষের যেভাবে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে রেকর্ড হতে পারে। সব জায়গায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই। সেসব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনুরোধ করেছি তারা যেন নিয়ম মেনে তাদের নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই থাকে।