খুদে হাতে এসি থেকে স্মার্ট হেলমেট তৈরি করে তাক লাগাল স্কুলপড়ুয়ারা
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাঁচ বছর আগে এক বন্ধু বাইক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। একটু বড় হয়ে পথ নিরাপত্তার স্বার্থে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কিছু করতে চেয়েছিল সন্দীপন ও তুফান নামে দুই কিশোর। বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিকাল মিউজিয়ামের (বিআইটিএম) বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে হাওড়ার বেগরি হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এই দুই ছাত্র এবার পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত মডেল নিয়ে উপস্থিত। তারা একা নয়, মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির স্পন্দন আর প্রিয়জিত্ তৈরি করেছে পরিবেশবান্ধব শীতাতপ যন্ত্র। সমাজের পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের নিয়ে বিআইটিএমের এই প্রদর্শনীতে সারা রাজ্য থেকে ১৪টি স্কুল ও সাতটি এনজিও অংশ নিয়েছিল। ঝাড়খণ্ড থেকেও অংশ নিয়েছিল একটি স্কুল।
বিআইটিএমের ডিরেক্টর শুভব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই উদ্যোগ সরকারি পর্যায়ে প্রথম। প্রায় ৬০টি বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল এসেছে। পরিবেশ সংক্রান্ত মডেলের সংখ্যা অনেক বেশি। পরিবেশ দূষণ নিয়ে যে সকলে ভাবছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ টেবিলের উপর রংবেরঙের প্রজেক্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পড়ুয়ারা। সামনে গেলে বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা কী করেছে? হাওড়া ডোমজুড়ের বেগরি হাই স্কুলের সন্দীপন নস্কর ও তুফান সুরাই দেখাচ্ছিল, সেন্সরের মাধ্যমে স্কুল গেটের সামনে কীভাবে ব্যারিকেড তৈরি করা যায়। শীতকালে কুয়াশার মধ্যে লাল আলো জ্বলে উঠলে, কীভাবে বাঁচতে পারে অনেকগুলো প্রাণ। এছাড়াও এমন একটি চশমা রয়েছে যা চোখ বুজলেই জ্বলে উঠবে। রয়েছে স্মার্ট হেলমেটও। আর মথুরাপুরের স্পন্দন প্রামাণিক, প্রিয়জিত্ মণ্ডল থার্মোকল দিয়ে তৈরি করেছে এসি। যা দিয়ে সত্যি সত্যিই ঠান্ডা হাওয়া বের হচ্ছে। স্পন্দন নিজেও একখানা যন্ত্র বাড়িতে তৈরি করে রেখেছে। তার কথায়, ‘বাবা-মা বলছে, ভালই ঠান্ডা হচ্ছে।’ এটুকু বলেই সে বোঝাতে শুরু করে, কতখানি পরিবেশ বান্ধব এই এসি। ওদিকে দমদম রোড গভর্নমেন্ট স্পনসরড হাইস্কুল ফর গার্লসের সুপ্রিতী নাটুয়া, ঈশিতা সরকার তৈরি করেছে ‘ম্যাজিক পেনসিল’। যে পেনসিলে লিখলেই বেগুনি রং ফুটে উঠছে। আজ, বৃহস্পতিবারও চলবে এই প্রদর্শনী। এছাড়াও আরও নানা ধরনের বিজ্ঞান মডেল নিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে বিজ্ঞান প্রদর্শনী। - নিজস্ব চিত্র