• ভাঙড়ের নলমুড়ি হাসপাতালে খারাপ জলের মেশিন, বন্ধ বিশ্রাম ঘর, অসন্তোষ রোগীদের
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড় ১ ব্লকের নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নানা সমস্যায় জর্জরিত রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। চিকিৎসা পরিষেবা পেলেও হাসপাতালের বেশ কিছু পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। যেমন ঠান্ডা পানীয় জলের কাউন্টার থাকলেও তা ব্যবহার করা যায় না সেটি খারাপ থাকায়। রোগীর আত্মীয়দের জন্য রাতে থাকার ঘর করা হলেও সেটিও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝর্ণা মণ্ডল বলেন, শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।


    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ তহবিলের টাকায় এই জলের কাউন্টার তৈরি করা হয়েছিল। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই সেটির উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু দু’দিন চলার পর ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিনটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালে এলে পানীয় জলের প্রয়োজন পড়ে। এই কাউন্টার করার ফলে ভেবেছিলাম সবার উপকার হবে। কিন্তু দেখছি সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে।


    এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের আত্মীয়-স্বজনরা রাতে থাকতে এখন সমস্যায় পড়ছেন। কারণ তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার ঘর থাকলেও সেটি এখন সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায়। এজন্য সেটি বন্ধ। ফলে অনেক রোগীর আত্মীয়দের খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হচ্ছে। কেন এমন পরিস্থিতি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। এই বিষয়ে ভাঙড় ১  ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝর্ণা মণ্ডল বলেন, হয়তো সেগুলি খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে বন্ধ। অফিস খোলার পর সেগুলি দেখে সারিয়ে ফের চালু করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)