পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আবার ডেডলাইন বিজেপি-র। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকার পতনের ডেডলাইন দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডেডলাইন দিয়েছিলেন, ডিসেম্বর। তা ঘটেনি। এবার ডেডলাইন শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর ডেডলাইন হল, ৮ মাস। শমীকের ডেডলাইন ধরলে, জুলাই বা অগাস্ট।
রাজ্যে ২০২৫ সালেই অকাল ভোট?
বুধবার পশ্চিমবঙ্গে ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। বিক্ষিপ্ত অশান্তিও দেখেছে রাজ্য। নৈহাটিতে ভোটের মাঝে ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে গুলি করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ভুয়ো ভোটার, বিজেপি এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ তুলেছে রাজ্য বিজেপি। এহেন আবহে সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুতর দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আয়ু আর মাত্র ৮ মাস। যার নির্যাস, ২০২৬ সালে নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ২০২৫ সালেই হয়ে যেতে পারে অকাল ভোট। অন্তত শমীকের দাবিতে তেমনই ইঙ্গিত।
'কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন নয় '
ঠিক কী বলেছেন শমীক? তাঁর কথায়, '২০২৬ পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না। ভবিষ্যৎ লেখা হয়ে গিয়েছে। আর ৮ মাস পরই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার থাকবে না। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন নয়।' বস্তুত শুধু শমীক নন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেন, মমতা সরকার ২০২৬ সাল পর্যন্ত টিকবে না। কিন্তু কীভাবে পতন, তার স্পষ্ট যুক্তি মেলেনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য কোনও ডেডলাইন দিচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, ২০২৬ সালে মমতা সরকারের বিদায় নিশ্চিত।
আখেরে মমতারই লাভ হতে পারে
এর আগেও রাজ্য বিজেপি-র একাধিক নেতা দাবি করেছিল, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার। এমনকী জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখনও রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জোরাল হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে আখেরে মমতারই লাভ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জনগণের একাংশের 'সিম্প্যাথি' চলে যেতে পারে মমতার পক্ষে। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসও দাবি করবে, ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে না পেরে, রাষ্ট্রপতি শাসনের সাহায্য নিচ্ছে কেন্দ্র। তবে শমীক কিন্তু স্পষ্ট করলেন, রাষ্ট্রপতি শাসন নয়। সে ক্ষেত্রে কীভাবে?
২০২৬-এর বিধানসভার আগে রাজ্য রাজনীতিতে যে নানা ঘটনার ঘনঘটা দেখা যাবে, তা নিশ্চিত।