উল্লেখ্য, মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন চট্টগ্রামের পুলিস কমিশনার রইস উদ্দিন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তির গ্রেফতারের দাবিতে ইসকনের লোকজন 'জয় শ্রীরাম' বলে স্লোগান দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজমাধ্য়মে বিভিন্ন ধরনের প্রচার চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে ওইসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ইস্কনের লোকজনই জড়িত।
এদিকে, এনিয়ে রাধারমণ দাস বলেন, চট্টগ্রামের পুলিস কমিশনার সাংবাদিক বৈঠকে যা বলেছেন তা আশ্চর্যজনক। তিনি বলেছেন হিন্দুরা ওখানকার এক মুসলিম দোকানদারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তারা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়। পুলিস কমিশনারের দাবি ওই জনতা ইস্কনের সদস্য। তিনি আরও দাবি করেছেন ইস্কনের লোকজন মুসলিমদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত ইস্কনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইস্কনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হচ্ছে। মুসলিমরা ইস্কন সদস্য়দের খুনের হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিস ইস্কন নিয়ে যা বলেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বড কোনও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগে আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি তিনি যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম পুলিসের তরফে বলা হয়, ইস্কনকে নিয়ে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হয়েছে এমন তথ্য ৯৯৯-এ পেয়ে কোতোয়ালী থানার পুলিস ছুটে যায়। তারা সেখানে গেলে অবরুদ্ধ ওসমান নামে ওই ব্যক্তিকে উশৃঙ্খল জনতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিস এবং সেনা সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। ছিনিয়ে নেওয়ায় বাধা দেওয়ায় উশৃঙ্খল জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল ও এসিড নিক্ষেপ পুলিসের ৯ জন সদস্য আহত হন। যার মধ্যে একজন এসিড দগ্ধ হন।