• বেপরোয়া বাস নিয়ে বৈঠকে দুই মন্ত্রী। ট্যাব-তদন্ত। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার। আর কী কী নজরে দিনভর
    আনন্দবাজার | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • বেপরোয়া বাসচালকদের রেষারেষির কারণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। আজ এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। সেখানে থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পরিবহণ দফতরের কর্তারা। থাকবেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ ছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন সরকারি পরিবহণ নিগমের প্রতিনিধি ও বেসরকারি বাস এবং অন্যান্য যানবাহন মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। আজ এই বৈঠকের খবরে নজর থাকবে।

    আদালত থেকে প্রিজ়ন ভ্যানে করে বেরোনোর সময় দু’দিন চিৎকার করে নিজেকে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে দাবি করেছিলেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রথম ঘটেছিল আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় চার্জ গঠনের দিন, গত ৪ নভেম্বর। দ্বিতীয় বার ঘটে ১১ নভেম্বর, শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার বিচার শুরুর দিন। দু’দিনের একই ঘটনাক্রমের পর সতর্ক হয়েছিল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার, বিচারের দ্বিতীয় দিনে ধৃতকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কালো ‘টিন্টেট’ কাচে ঢাকা সাদা রঙের একটি এসইউভি-তে। বুধবারও সেই পন্থা অবলম্বন করে পুলিশ। লোহার জাল দেওয়া কালো কাচের সাদা গাড়িতে করেই ধৃত সিভিককে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। প্রথম দিন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা এবং প্রতিবেশী এক ‘কাকু’। মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আরজি করে ঘটনার রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে ডিউটিতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মী জুনিয়র ডাক্তারের। বুধবার আরও দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁদের এক জন সিনিয়র ডাক্তার। অন্য জন মহিলা ডাক্তার। আদালতে হাজির করানো হয়েছিল ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও। আজ শিয়ালদহ কোর্টে সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে। এই খবরে নজর থাকবে।

    স্কুলপড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য টাকা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করছে না বলে অভিযোগ। কলকাতা-সহ অন্য জেলাগুলি থেকে এই অভিযোগ উঠে আসছে। যাদবপুর, ঠাকুরপুকুর, কসবা, ওয়াটগঞ্জ, মানিকতলা এবং বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্যে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে দু’জনকে। ধৃতদের কেউই কলকাতার নন। ট্যাবকাণ্ডের তদন্তে ফরেন্সিক অডিট করার পরিকল্পনাও করছে কলকাতা পুলিশ। এই মামলায় পুলিশি তদন্ত আজ কোন দিকে মোড় নেয়, আরও কোনও অভিযুক্ত ধরা প়ড়েন কি না, নজর থাকবে সেই খবরে।

    চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠনের কথা ছিল। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। অনুপ মাজি ওরফে লালা অভিযুক্ত না সাক্ষী? তদন্তকারীদের উদ্দেশে ওই প্রশ্ন ছুড়েছিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ওই জটিলতায় সে বার চার্জ গঠন হয়নি। ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিল আদালত। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে, এমন ৫০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ফেরার বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ‘ফাইল ফর প্রেজেন্ট’-এর নোটিস বার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত নরেশকুমার সাহা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে চলে যান সে বার। আজ এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    শীত এখনও পড়েনি বাংলায়। তবে শীতের আমেজ উপভোগের জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না রাজ্যবাসীকে। চলতি সপ্তাহেই শীতের আমেজ মিলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জেলাগুলিতে ভোরের দিকে এখন থেকেই শিরশিরে হাওয়া অনুভূত হতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার থেকেই শীতের আমেজ মিলতে পারে রাজ্যে। উত্তরের পাহাড়় সংলগ্ন জেলাগুলিতে এবং গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদপতন হতে পারে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)