চার বছর আগে ভাটপাড়া পুরসভার একটি মামলায় অর্জুনকে মঙ্গলবার তলব করেছিল সিআইডি। নোটিসে জানানো হয়েছিল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে হবে বিজেপি নেতাকে। তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ। নোটিস খারিজ এবং রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, উপনির্বাচনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ডেকে পাঠাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সেই মামলায় অর্জুনকে খানিক স্বস্তি দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আদালত জানিয়েছিল, অর্জুনকে বৃহস্পতিবার ডাকতে হবে। সেই মতো বিজেপি নেতাকে বুধবারের উপনির্বাচনের আগে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে হাজিরা দিতে হল বৃহস্পতিবার।
হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, অর্জুনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে তা মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। কিন্তু ওই সময় পর্যন্ত একক বেঞ্চ কোনও আইনি রক্ষাকবচ না দেওয়ায় মঙ্গলবার ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু নথি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে শেষমেশ ডিভিশন বেঞ্চে মামলাই দায়ের হয়নি।