• ট্যাব প্রতারণাচক্রের নাগাল পেতে সিট গঠন মালদহ জেলা পুলিশের, নেতৃত্বে এসপি
    আনন্দবাজার | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ট্যাব প্রতারণাচক্রের নাগাল পেতে এ বার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল মালদহ জেলা পুলিশ। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। এ ছাড়াও রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডিআইবি। বুধবার মালদহের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত জেলায় পাঁচটি এফআইআর হয়েছে। ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছে ১৮১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

    ট্যাব-কাণ্ডে মালদহে ইতিমধ্যেই পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বৈষ্ণবনগর থেকে শ্রবণ সরকার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল এসসি সেলের ব্লক সভাপতি জিতেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র। শ্রবণের দোকান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স এবং পেনড্রাইভ।

    মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তদের আটক করে বৈষ্ণবনগর থানায় নিয়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১৫টি পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, ডায়েরি, ব্যাঙ্কের নথি। পুলিশ সূত্রে খবর, আরও অনেকে এই ট্যাব কেলেঙ্কারিচক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    রাজ্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে ট্যাব কেনার জন্য একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয়। সেই টাকা সরাসরি ঢোকে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ, ৩০০-র বেশি পড়ুয়ার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ, এক জনের টাকা চলে গিয়েছে অন্য জনের অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়াও, ‘হ্যাক’ করে ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)