• অর্থের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল পড়াশোনা, শিশুদিবসে অভাবী কিশোরীদের দায়িত্ব নিল প্রশাসন
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: এক বছর আগে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন বাবা। সহায় সম্বলহীন হয়ে দিনমজুরি খেটে কোনওক্রমে সংসার চালান মা। এমন সংসারে পড়াশোনা করার অর্থ আসবে কীভাবে? অগ্যতা, অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছিল দুই কিশোরীর। তবে আজ, বৃহস্পতিবার শিশুদিবসের দিন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া, মুন্ডাপাড়া বস্তিতে ওই পরিবারের কাছে পৌঁছে দুই ছাত্রীর পড়াশোনার যাবতীয় ভার নিল প্রশাসন। শিশু দিবসে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল উপহার।


    আজ সকালে আধিকারিকদের নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই তিনি জানিয়ে দেন ওই দুই ছাত্রীর পড়াশোনার যাবতীয় ভার নিচ্ছে প্রশাসন।


    বিডিও জানিয়েছেন, আপাতত ওই দুই ছাত্রীর পড়াশোনা চালানোর জন্য যা খরচ তা প্রশাসনের তরফে বহন করা হচ্ছে। এরপর মিশন বাৎসল্য প্রকল্পে তাঁরা যাতে প্রতিমাসে চার হাজার টাকা করে ভাতা পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ছাত্রী দু’জনের মা বিধবা ভাতা পান না। তিনি যাতে ওই ভাতা পান প্রশাসনিকভাবে তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই দু’জন ছাত্রী ছাড়াও আজ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে এরকম আরও ৮জন  ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে প্রশাসন।
  • Link to this news (বর্তমান)