• ঐক্য-সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে রাস উত্সব আয়োজন ময়নাগুড়ির সিঙিমারি সন্ধানী সঙ্ঘ ও পাঠাগারের
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: রাস উৎসব ও মেলাকে কেন্দ্র করে জোর তৎপরতা শুরু ময়নাগুড়ির সিঙিমারি সন্ধানী সঙ্ঘ ও পাঠাগারের সদস্যদের। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবে শামিল হয়ে আসছেন। সিঙিমারি সন্ধানী সঙ্ঘ ও পাঠাগারের উৎসবের এবার ৩৮তম বর্ষ। আজ, বৃহস্পতিবার মণ্ডপে নিয়ে আসা হবে রাধা-কৃষ্ণ, অষ্টসখী সহ আরও কিছু প্রতিমা। মধ্য রাতে পুজো হবে। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা মেলায় স্টল দেওয়ার জন্য চলে এসেছেন। 


    প্রতিবছরের মতো এ বছরও সিঙিমারি চন্দ্রদেব হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পুজো ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ১৫-১৭ নভেম্বর এই তিনদিন মেলা চলবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে ওই ক’দিন। ৩৮ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দারা এই উত্সবের সূচনা করেছিলেন। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রাস উৎসবের জন্য কোচবিহারে যেতে হয়। কিন্তু স্থানীয় এলাকায় এই আনন্দ উপভোগের জন্য সেই সময়ে ভলেন রায়, নীরদবরণ রায়, জব্বার আলি, মনসুর আলি, রবীন শীল সহ কয়েকজন এই উৎসবের সূচনা করেন। বর্তমানে এই উৎসব আগের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন আসেন। প্রত্যেকে পুজোর আনন্দ উপভোগ করেন। 


    এ বছর পুজো কমিটির সভাপতি দায়িত্বে রয়েছেন ভলেন রায়। সহ সভাপতি সঞ্জয় রায়, সম্পাদক দেবদীপ রায়, সহ সম্পাদক গোলাপ মহম্মদ, কোষাধ্যক্ষ সমর শীল। এছাড়াও মহিলা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মী রায়, ভারতী রায়, অঞ্জলি রায়, রেণুকা রায়, উর্মিলা অধিকারী। সিঙিমারি সন্ধানী সঙ্ঘ ও পাঠাগারের প্রতিমা তৈরি করেছেন সুধীর পাল। মণ্ডপ শিল্পী কৃষ্ণ রায়। আলোকসজ্জায় রয়েছেন গৌতম সরকার। 


    সভাপতি বলেন, আমাদের মেলার উদ্বোধন করবেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডিপিএসসি চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়। তিন দিনব্যাপী আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীরা আসবেন। মেলায় বিভিন্ন স্টলের পাশাপাশি ছোট নাগরদোলা, মিকি মাউস এসেছে। আমরা সমগ্র জেলাবাসীকে আমন্ত্রণ জানাই। 


    -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)