• চাঁচলে ৪৫০ জনকে দেড় কোটি টাকা ঋণ, ভিনরাজ্যে কাজ ছেড়ে ফেরার পর স্বনির্ভর হচ্ছেন যুবক যুবতীরা
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে ঋণ পেয়ে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্রত্যন্ত গ্রামের পিছিয়ে পড়া যুব সম্প্রদায়। এই প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মালদহের চাঁচল এলাকায়।  সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চাঁচল এলাকায় অন্যতম বড় সমস্যা কর্মসংস্থান। এলাকার বিভিন্ন গ্রামের সংখ্যালঘুরা অর্থনৈতিকভাবে এখনও  অনেক পিছিয়ে। ফলে বেশিরভাগ যুব কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। কারণ স্বনির্ভর হওয়ার জন্য ন্যূনতম মূলধন তাঁদের থাকে না। সম্প্রতি স্বল্প সুদে রাজ্য সরকারের এই ঋণের সুবিধা নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন যুবরা। অনেকে ঋণ নিয়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেছেন। আবেদন করে অপেক্ষা করছেন আরও অনেকে। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেনের দাবি, প্রকল্পের উপভোক্তা বাড়লে যুবকদের মধ্যে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। দপ্তরের চাঁচল ১ ব্লকের অফিস সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৪৫০ জনকে দেড় কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করার পর গৃহীত হলেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে টাকা।


    বুধবার ঋণের আবেদন গৃহীত হয়েছে মালতীপুরের মাম্পি খাতুনের। তিনি বললেন, ইচ্ছে থাকলেও অর্থের অভাবে গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারেন না। ঋণের টাকায় এবার গো-পালন করব। খেজুরিয়া মোড়ের মিঠু আলির কথায়, ঋণের টাকা দিয়ে স্টিল ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করেছি। ভালোই চলছে।  চাঁচল ১ ব্লক সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের ফিল্ড সুপারভাইজার শেখ আফসার আলি বলেন, ব্যক্তিগত উপভোক্তাকে বার্ষিক ৬ শতাংশ ও দলগুলিকে ৭ শতাংশ হারে ঋণ প্রদান করা হয়। টাকা পেয়ে অনেকেই স্বনির্ভর হচ্ছেন।


    (সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগম থেকে ঋণ পেলেন মালতীপুরের মাম্পি খাতুন। তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। চাঁচলে তোলা নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)