মুর্শিদাবাদের সালারের বাসিন্দা উপেন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অসুস্থ স্ত্রী শিবানীদেবীকে ভর্তি করান কেতুগ্রাম হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যালে। কলকাতা রাজারহাটে থাকেন উপেনবাবুর মেয়ে। তাই নিজের টোটোয় স্ত্রীকে চাপিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন। কিন্তু ডানকুনির কাছে এসে টোটোর ব্যাটারি ফুরিয়ে যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতা।
গতকাল রাত ১০টা নাগাদ উপেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী এসে পৌঁছন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিবানীদেবীর হাত পা ফুলে গিয়ে, হার্ট ও কিডনির অসুখে ভুগছেন। বমি হচ্ছে বারবার। কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বলা হয় ওই বিভাগের ডাক্তার নেই। তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছন এসএসকেএম-এর ইমার্জেন্সিতে। সেখানে শিবানীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরকম এক পরিস্থিতিতে তাদের চলে যেতে বলা হয়। বলা হয় বৃহস্পতিবহার অর্থাত্ আজ সকালে কাডিওলজি বিভাগে আসতে। প্রশ্ন উঠছে কোথায় সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম?
হাসপাতালেই রাত কাটান শিবানী ও উপেনবাবু। আজ সকালে কার্ডিওলজি বিভাগের ওপিডিতে দেখানোর পর ইসিজি করা হয় শিবানীদেবীর। তারপর বলা হয় মেডিসিনের ওপিডিতে দেখাতে। সকালে তাঁরা চলে যান মেডিসিন বিভাগের সাত তলায়। এরপর তাঁদে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে।
সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু রেফারেল রেফারেলের উপরে ভরসা করে কলকাতায় এলে রোগীর বেড পাওয়ার কথা। প্রশ্ন উঠছে বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে রেফার করা হওয়ার পর শিবানীকে কেন কলকাতা মেডিক্যাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হল? এসএসকেএমও সিট মিলল না। শুধু তাই নয় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ওপিডিতে।