রাজারহাট থানার আইসির বিরুদ্ধে একটি মামলায় দু’টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার তা নিয়েই বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার ওই আইসিকে না সরালে আদালতই সরিয়ে দেবে। বিচারপতির কথায়, ‘‘ওই আইসিকে সরিয়ে দিতে বলুন। না হলে আদালত সরিয়ে দেবে। ওই ব্যক্তির আইসি পদে থাকার অধিকার নেই।’’ আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজারহাট থানার অন্তর্গত একটি তিন কাঠা জমি দখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তা-ই নয়, ওই জমিটি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। অথচ, জমিটি বিক্রি করতে অনিচ্ছুক ছিলেন জমির মালিক। অভিযোগ, এলাকার কয়েক জন দুষ্কৃতী ওই জমি দখল করে সাইকেল গ্যারাজ বানিয়েছেন। জমির মালিককে মারধরও করেছেন তাঁরা। এর পরেই নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জমির মালিক। কিন্তু তাঁর দাবি, থানা সহযোগিতা করেনি। উল্টে তাঁকে ফের মারধর করেছে দুষ্কৃতীরা। এর পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। অন্য পক্ষও জমির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনায় রাজারহাট থানার আইসি দু’টি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও একটি ঘটনা না ঘটলে দু’পক্ষ থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন না। অথচ, পুলিশের প্রথম তদন্ত রিপোর্টে অনেক কিছুই নেই। এর পরেই বিচারপতি ওই থানার আইসিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি জানান, এই মামলায় রাজ্যকে নতুন করে রিপোর্ট দিতে হবে।