পিয়ালি মিত্র: ট্যাব জালিয়াতির 'এপিসেন্টার' চোপড়া বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিস। কলকাতার ১০৭ পড়ুয়া টাকা যে অ্যাকাউন্ট গুলোতে জমা পড়েছে, তার আইপি অ্যাড্রেস বেশির ভাগ উত্তরবঙ্গের। ৩০০-৫০০০ টাকা দিয়ে ভাড়া নেওয়া হত অ্যাকাউন্ট। বয়স্কদের মহিলাদের অ্যাকাউন্টও ভাড়া নেওয়া হত। অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ার ১-২ ঘন্টার মধ্যে তুলে নিয়ে নেওয়া হত টাকা।
যে যে এটিম থেকে টাকা তোলা হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে কলকাতা পুলিস। স্কুল থেকে ডিআই অফিস হয়ে শিক্ষা দফতর হয়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের জমা পড়ত পড়ুয়াদের তথ্য। সেন্ট্রাইলজড কোনও জায়গা থেকে তথ্য কারচুপি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃত দুজনের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ টা মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিসে ভিকটিম- ১০৭, সরশুনা-৩১, জন ভিকটিম যাদবপুর-৬ ভিকটিম, মানিকতলা-২ ভিকটিম,ওয়াটগঞ্জ-২ ভিকটিম, কসবা- ১১ ভিকটিম, জোড়াবাগান-৪২ ভিকটিম, বেনিয়াপুকুর-৫ ভিকটিম, ভবানীপুর-২ ভিকটিম, সরশুনা-২ ভিকটিম, গল্ফগ্রিন-৪ ভিকটিম।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে ফের চালু হয়ে গিয়েছে 'তরুণের স্বপ্ন'। স্রেফ দ্বাদশ শ্রেণি নয়, এই প্রকল্পে এবার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু সেই টাকা হ্য়াকার হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। জেলায় জেলায় একই ছবি। এমনকী, বাদ নেই কলকাতাও। স্কুল কর্তৃপক্ষ থানার অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত নেমেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, সব জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭৮১ পড়ুয়ার টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ঝাড়গ্রামে। চলছে ধরপাকড়ও।