সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: নভেম্বরের মাঝামাঝিতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার লক্ষণ নেই। এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও রায়গঞ্জ পুরসভার তরফ থেকে মশানাশক তেল স্প্রে করা হচ্ছে ও চলছে সচেতনতা শিবির। রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জ এলাকায় গতবারের মতো এবছরেরও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সে কারণে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে স্কুলের পড়ুয়াদের সচেতন করার কাজ চলছে এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মী সোমা ঘোষ বিশ্বাস বলেন,আমরা স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সচেতন করছি। বাড়িতে কোথাও যাতে জমা জল না থাকে, সেবিষয়ে সচেতন করলাম। পাশাপাশি সবসময় ফুল জামা, প্যান্ট পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আলতামাস আলি বলেন, মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জ এলাকায় প্রত্যেকদিন জ্বরের পরীক্ষা চলছে এবং সার্ভে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মাড়াইকুড়াতে ২৪ জনের ডেঙ্গু হয়েছে এবং রায়গঞ্জ ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬ জন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মেডিক্যালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ১৩ জন। তারমধ্যে তিন জন সিসিইউতে ভর্তি। অন্যদিকে রায়গঞ্জ শহরেও ডেঙ্গু নিধন করতে চলছে স্প্রে ও জঙ্গল সাফাইয়ের কাজ। এছাড়া ডেঙ্গু নিয়ে ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের ট্রেনিং চলছে। রায়গঞ্জ পুরসভা জানিয়েছে,সপ্তাহ খানেক আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। শহরে ডেঙ্গুর খুব বেশি প্রভাব নেই। তবে আমাদের নজরদারি চলছে। তবে নভেম্বরেও ডেঙ্গুর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে সাধারণ মানুষ। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে সকলেই এখন শীতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ রায় বলেন, শীতের জন্য এখনও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গু রুখতে নিকাশি নালায় কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র