নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মোট ৭৫০ থেকে ১০০০ জন পড়ুয়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ এসেছে শিক্ষাদপ্তরে। তবে, এদের মধ্যে সবাই জালিয়াতির শিকার নয়। অন্তত ৫০০ জনের ক্ষেত্রে জালিয়াতি হয়েছে। আর এদিন বিকেল পর্যন্ত অন্তত ৪০০ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সমস্যা অন্য। কারও কেওয়াইসি আপডেট করা নেই। কারণ কিছু ক্ষেত্রে জনধন অ্যাকাউন্টে ডিপোজিটের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় টাকা ঢুকছে না। এদিন এমনই দাবি করেছেন এক শিক্ষাকর্তা। তবে এসব ক্ষেত্রে আর নতুন করে পেমেন্ট করা হবে না। তাহলে ‘ডবল-ডিপোজিট’-এর সমস্যা হবে।
শিক্ষাকর্তাদের বক্তব্য, তথ্য আপডেটের সময় প্রধান শিক্ষকদের সাহায্য করা উচিত সহ-শিক্ষকদের। কারণ, সমস্ত স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষাকর্মী নেই। এই গণ্ডগোল হতো না যদি প্রধান শিক্ষকরা অ্যাকাউন্ট নম্বর ‘ফ্রিজ’ অর্থাৎ চূড়ান্ত করার আগে আরেকবার স্ক্রুটিনি করে নিতে পারতেন। এটা একমাত্র প্রধান শিক্ষকের আইডি দিয়েই করা সম্ভব। আগস্টে জুলাইয়ে তথ্য আপলোড এবং আগস্টে ফ্রিজিং হয়েছিল। তার মধ্যবর্তী কোনও সময়ে অ্যাকাউন্টের তথ্য অদল-বদল করা হয়েছিল বলে তাঁদের প্রবল ধারণা। এছাড়া, বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে তথ্য আপলোড হওয়ায় সেখান থেকেও তথ্যফাঁস হয়ে থাকতে পারে।
এই ধরনের আর্থিক প্রকল্পকে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে আলাদা করে পিএফএমএস বা ওই জাতীয় কোনও নতুন পোর্টালের আওতায় আনা যায় কি না, সেটাও ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ, সেই ব্যবস্থা অনেক বেশি নিরাপদ। আগামী বছর পুরোপুরি একটি নিরাপদ পদ্ধতিতে এই অর্থ প্রদান করা যাবে বলে কর্তাদের দাবি। তবে, অধিকাংশ জাল অ্যাকাউন্টের ডেবিট ব্লকড থাকায় সেই টাকা সরকার উদ্ধার করতে পারবে বলেই তাঁদের আশা। এদিন সল্টলেক ইজেডসিসিতে শিক্ষাদপ্তরের কলা উৎসব অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমস্যার সমাধানে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে গ্রেপ্তারির সংখ্যাও। দোষীরা শাস্তি পাবেই। চক্রটিকে পুলিস প্রায় জালে এনেই ফেলেছে। বঞ্চিত বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি) তথ্য-প্রযুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পোর্টালটির নিরাপত্তা আগামী দিনে পুরোপুরি সুনিশ্চিত করা যাবে।