নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: উপ প্রধানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মাটি পাচারের অভিযোগ তুললেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার জেরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃদ্ধাশ্রম তৈরি জন্য ওই মাটি রাখা হয়েছিল।
বারাসত ১ ব্লকের ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পক্ষ থেকে তৈরি হচ্ছে একটি বৃদ্ধাশ্রম। জমি কিনে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। যেখানে বৃদ্ধাটি তৈরি হচ্ছে, তা অনেকটাই উঁচু ছিল। সেই জমির মাটি কেটে ভবন নির্মাণ হচ্ছে। আর মাটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল পাশে। রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে ওই মাটি ভ্যানে করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাওয়ার কয়েকদিন পরে এলাকায় যান প্রধান অমল দাস সহ অনান্য প্রতিনিধিরা। অমল বলেন, বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে যাই। জানতে পারি, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নুরুল হক টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করছেন। তারপরে আমরা মাটি বিক্রি বন্ধ করে দিই। পুলিস ও দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মিটিং করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নুরুল হক। তিনি বলেন, প্রধান নিজেই আমাকে বলেছিলেন মাটি বিক্রি করতে। সেই টাকা নিজস্ব তহবিলে রাখারও কথা হয়েছিল। আসলে আমি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দায়িত্ব রয়েছি। তাই আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এইসব কুৎসা রটানো হচ্ছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। কেউই আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনতে পারেনি। আসলে আমাকে সভাপতি থেকে সরাতে পদের লোভে কেউ কেউ এটা করছে। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানাব। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বারাসতের বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, প্রধান যদি এতটা নিজেকে সৎ মনে করে তাহলে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করুক। তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। আসলে কাটমানি নিয়ে সমস্যা। নিজস্ব চিত্র